অপেক্ষমাণ রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখে উন্নীত হতে পারে
এনএইচএস’এর ওয়েটিং লিস্ট অর্থ্যাৎ অপেক্ষমান রোগীর সংখ্যা নিজেরই রেকর্ড ভেঙ্গে এখন ৭৩ লাখে উন্নীত হয়েছে। এজন্য রক্ষনশীল দল আবার বিড় বিড় করে ক্ষমা চাওয়ার পথ বেছে নিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্টিভ বার্কলে স্বীকার করেছেন এপ্রিল পর্যন্ত গত ১৮ মাস যাবৎ অপারেশনের জন্য অপেক্ষমান যেসব রোগীকে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিলো, তাদের অপারেশনের ব্যবস্থা করা হয়নি এখনো। এদের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার।
আগামী সাধারন নির্বাচনের আগে এই বিপুল অপেক্ষমান তালিকা কি তাৎপর্যভাবে হ্রাস করা সম্ভব, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকদের অভিমত হচ্ছে, এক্ষেত্রে অতি সামান্য সম্ভাবনা আছে। হেলথ্ ফাউন্ডেশন এর গবেষনা ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষন সংক্রান্ত পরিচালক অনিতা চার্লসওয়ার্থ এ মন্তব্য করেন। নাফিল্ড ট্রাস্ট এর প্রধান নাইজেল এডওয়ার্ডস বলেন, সম্ভাবনা শূন্যের কাছাকাছি। আমার কোন সন্দেহ নেই যে, তারা টার্গেট মিস করবে। মোট জনসংখ্যা ১০ শতাংশেরও বেশী মানুষ চিকিৎসার অপেক্ষায় আছে।
দ্য ইনস্টিটিউট ফর ফিসক্যাল স্টাডিজ বলেছে, ৭৩ লাখের বাইরে আরো বহু রোগী এখনো সিস্টেমের মধ্যে আসেনি, তারা অপ্রকাশিত রয়ে গেছেন। সিস্টেমের মধ্যে এলে এই সংখ্যা ৯০ লাখে দাঁড়াবে। অনেক রোগী আসতে দেরী করছেন, অনকে বোঝা হওয়ার ভয়ে ভীত। প্রতি মাসে তালিকা থেকে চিকিৎসার প্রয়োজন নেই, মৃত্যু এবং প্রাইভেট চিকিৎসায় ৩ শতাংশ রোগী চলে যাওয়া সত্বেও সংখ্যা এমনি হবে। সরকারের ২০২৪-২৫ সালের উদ্ধার পরিকল্পনার লক্ষ্য হচ্ছে, ৩০ শতাংশ ইলেক্টিভ কর্মকান্ড বৃদ্ধি, যা করোনা মহামারী পূর্বকালীন পর্যায়ের। তবে তা অর্জনের সম্ভাবনা নেই, এমন অভিমত আইএফএস’র।
তাদের বক্তব্য হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী চলতি বছর অপেক্ষমান রোগীর তালিকা উল্লেখযোগ্য হারে কমানোর প্রতিশ্রুতিই শুধু দিয়েছেন। কিন্তু এজন্য কতোজন রোগীকে চিকিৎসা দিতে পারবে এনএইচএস তার ব্যবস্থাপনায় তাৎপর্যপূর্ন উন্নতী প্রয়োজন। এ ব্যাপারে তারা এখনো লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ অপেক্ষমান রোগীর তালিকা ১ কোটি ৩০ লাখে পৌঁছতে পারে বলে সতর্কবানী উচ্চারন করেছেন।