যুক্তরাজ্যের রেকর্ড সাড়ে ৮ বিলিয়ন পাউন্ডের অস্ত্র বিক্রি
সরকারী সূত্রে প্রকাশ, ব্রিটিশ অস্ত্র বিক্রি ২০২২ সালে দ্বিগুন বৃদ্ধি পায়, যা রেকর্ড পরিমান সাড়ে ৮ বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের। ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার বিস্তার এবং রাশিয়ার ইউক্রেইনে আগ্রাসনে সৃষ্ট শংকা থেকে এই অস্ত্র বিকিকিনি বৃদ্ধি পেয়েছে। যুক্তরাজ্যের তৈরী অস্ত্রের সবচেয়ে বড়ো গন্তব্য হচ্ছে কাতার। দেশটি যুক্তরাজ্য থেকে ২.৭ বিলিয়ন পাউন্ডের অস্ত্রশস্ত্র ক্রয় করেছে। ২০০৮ সালে রফতানীর ডাটা বা উপাত্ত প্রকাশ শুরুর পর থেকে ২০২২ সালে সাড়ে ৮ বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের অস্ত্র বিক্রি একটি রেকর্ড বটে। এটা এর আগের বছর অর্থ্যাৎ ২০২১ সালের দ্বিগুনেরও বেশী। এর আগে ২০১৫ সালে সর্বোচ্চ ৬.৯ বিলিয়ন পাউন্ডের অস্ত্র বিক্রি করে যুক্তরাজ্য। সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের সময় এই অস্ত্র বিক্রি হয়।
২০২২ সালের সর্বশেষ রফতানীর পরিসংখ্যানে দেখা যায়, যুক্তরাজ্যের অস্ত্র ইন্ডাষ্ট্রি কর্তৃত্ববাদী সরকারগুলোকে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিতকরনে কাজ করে আসছে দীর্ঘকাল যাবৎ। একথাগুলো ‘ক্যাম্পেইন এগেইনস্ট আর্মস ট্রেড’ (সিএএটি)- এর জনৈক গবেষক স্যাম পারলো ফ্রিম্যানের।
তিনি বলেন, এছাড়া যেসব দেশ সংঘাতে লিপ্ত, তারা যুক্তরাজ্য সরকারের পূর্ন অনুমোদন প্রাপ্ত। সর্ববৃহৎ অস্ত্র ক্রেতা হচ্ছে উপসাগরীয় দেশ। কাতার ২০২২ সালে বিএই থেকে ২.৪ বিলিয়ন পাউন্ডের ইউরো ফাইটার টাইফুন ও সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম ক্রয় করে। এর প্রথম চালান সরবরাহ করা হয় গত বছরের আগষ্টে। শীতকালীন বিশ্বকাপের কয়েক মাস আগে।
সৌদী আরব প্রচলিতভাবে যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে তাৎপর্যবাহী গ্রাহক। দেশটি ১.১ বিলিয়ন পাউন্ডের অস্ত্র ক্রয় করে, যার মধ্যে ৯৬৪ মিলিয়ন পাউন্ডের ক্ষেপনাস্ত্র ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রাংশ অন্তর্ভূক্ত ছিলো। ইতোপূর্বে ইয়েমেনে বোমা হামলা চালানোর সময় এধরনের অস্ত্রশস্ত্রই ব্যবহৃত হয়। ক্যাম্পেইন এগেইনস্ট আর্মসের একটি সফল আইনী চ্যালেঞ্জের ফলে যুক্তরাজ্য সংক্ষিপ্তভাবে এধরনের অস্ত্র রফতানী বন্ধ রাখে। ক্যাম্পেইন গ্রুপ অভিযোগ করে যে, এসব অস্ত্র ইয়েমেনে ব্যবহৃত হচ্ছে।