এনএইচএস‘র ঋনের দায়ে আটক রাখা বেআইনী
যুক্তরাজ্যের হাইকোর্ট হোম অফিসের একটি গোপন নীতিকে বেআইনী বলে ঘোষনা করেছে। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একাধিক মামলায় হাইকোর্ট এমনি রায় প্রদান করেছে। মামলাগুলো এনএইচএস এর ঋন সংক্রান্ত। দু’জন মা যখন যুক্তরাজ্যের বাইরে তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাত শেষে পুনরায় যুক্তরাজ্যে প্রবেশের চেষ্টা করেন, তখন তাদেরকে বিমানবন্দরে আটক করা হয়। তাদের কাছে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা এনএইচএস এর প্রসূতি সেবার জন্য ঋন ছিলো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় আগেই এ ঋন সম্পর্কে অবগত ছিলো। মহিলাদ্বয়কে তাদের সন্তানাদিসহ আটক করা হয় স্বল্প সময়ের জন্য। তবে আটকের সময় তারা জানতেন না কখন তারা ছাড়া পাবেন।
বোর্ডার ফোর্স কর্মকর্তারা তাদের আটক ও তাদের বিষয়ে তদন্ত করে। কারন অপরিশোধিত এনএইচএস এর দেনার বিষয়টি হোম অফিসের নিয়ম অনুযায়ী তাদের অবগত করা হয়। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি আদালতে গড়ায়। গত ২৬ মে প্রদত্ত এক রায়ে জনাব বিচারপতি চ্যাম্বারলেইন বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অন্যায়ভাবে ২ জন মহিলা ও তাদের সন্তানদের মিথ্যা পন্থায় কারারুদ্ধ করেছেন। তিনি আরো বলেন যে, সোয়েল্লা ব্রেভারম্যান ঐসব নারীর ওপর নীতিমালার সমতার প্রভাব বিবেচনা করার বিষয়ে তার কর্তব্য ভঙ্গ করেছেন, যারা এনএইচএস কর্তৃক অনানুপাতিক ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার হয়েছেন বলে জানা গেছে। মামলা চলাকালীন সময়ে হোম অফিসকে বিদ্যমান নীতি নিশ্চিত ও প্রকাশ করতে বলা হয়। কিন্তু হোম অফিস তার করতে অস্বীকৃত হয়।
এখন শেষ পর্যন্ত তারা তা প্রকাশ করেছে এবং এটা পুনরায় লেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে। মামলা দায়েরকারী মহিলা দু’জন মালি ও আলবেনিয়া থেকে আগত। মালি থেকে আগত মহিলা এফজিএম অর্থ্যাৎ নারী খৎনা থেকে পালিয়ে আসা ভিকটিম। কয়েকবার গর্ভপাত ও একবার স্টিলবার্থের ফলে এনএইচএস এ ঋনগ্রস্ত। আর আলবেনীয় মহিলা এনএইচএস এ তার ঋন পরিশোধ করে আসছেন। বিচারপতি তার পর্যবেক্ষনে বলেন, লোকজনকে বিমান ও সমুদ্র বন্দরে আটকানো সংক্রান্ত হোম অফিসের অপ্রকাশিত নীতি বেআইনী।