চলতি গ্রীষ্মে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদের হার দুই দফা বাড়াবে

আইএমএফ এই মর্মে সতর্ক করে দিয়েছে যে, বাড়ির মর্গেজের সুদের হার আরো বাড়বে। তবে যুক্তরাজ্য একটি মন্দা এড়াতে সক্ষম হবে। গত বুধবার যুক্তরাজ্যের বাড়ির মালিকদের সতর্ক করে বলা হয়েছে যে, এই গ্রীষ্মে তাদেরকে আরো সুদের হার বৃদ্ধির সম্মুখীন হতে হবে।
অর্থনীতিবিদরা বলেন যে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড- এর মুদ্রানীতি সংক্রান্ত কমিটিকে জুনে বাধ্য হয়ে সুদের হার সাড়ে ৪ শতাংশ থেকে আরো বৃদ্ধি করতে হতে পারে। এরপর কয়েক মাসের মধ্যে আরো বাড়তে পারে মূল্যস্ফীতি দৃঢ়ভাবে নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য। এ প্রসঙ্গে তারা মূল্যস্ফীতি মার্চের ১০.১ শতাংশ থেকে এপ্রিলে ৮.৭ শতাংশে নেমে আসার বিষয়টি উল্লেখ করেন। মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের নীচে নেমে এলেও লন্ডন নগরীতে সেটা প্রত্যাশার চেয়ে কম। ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত গত ১২ মাসে কৌর ইনফ্ল্যাশন অর্থ্যাৎ গভীরের মূল্যস্ফীতি প্রকৃতপক্ষে ৬.৮ শতাংশে বৃদ্ধি পায়, জ্বালানী, খাদ্য, এলকোহল ও ট্যোবাকো যার বাইরে। মার্চে এটা ছিলো ৬.২ শতাংশ, যা ১৯৯২ সালের মার্চ থেকে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
এন্ডপি গ্লোবাল মার্কেট ইনটেলিজেন্স এর প্রধান অর্থনীতিবিদ রাজ বাদিয়ানি বলেন, এপ্রিলে উর্ধ্বমুখী সেবা ও গভীরের মূল্যস্ফীতি থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সামনে তার বর্তমান আঁটোসাঁটো চক্রের বাইরে পথ খুব কমই খোলা আছে।
তিনি আরো বলেন, এখন আমরা এই নীতিই প্রত্যাশা করি যে, হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট থেকে ৪.৭৫ শতাংশে বৃদ্ধি পাবে তাদের পরবর্তী বৈঠকের সময়। এছাড়া আগষ্টের প্রথম দিকে আবারো তা বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে বলে তিন স্বীকার করেন।
ক্যাপিটাল ইকোনোমিক্স এর প্রধান ইউকে অর্থনীতিবিদ পল ডেইলস্ বলেন, মূল্যস্ফীতি ব্যাংকের প্রত্যাশার চেয়ে বেশী নাছোড়বান্দা। একথা অনস্বীকার্য যে, ব্যাংক জুনে সুদের হার সাড়ে ৪ শতাংশ থেকে ৪.৭৫ শতাংশে বৃদ্ধি করবে। সম্ভবত: আরো কিছু বাড়াবে এর পরের মাসগুলোতে।
প্যান্থিয়ন ম্যাক্রোইকোনোমিক্ এর প্রধান ইউকে অর্থনীতিবিদ স্যাম্যুয়েল টম্বস বলেন, আগামী ২২ জুনের বৈঠকে ব্যাংক রেইট সাড়ে ৪ শতাংশ থেকে ৪.৭৫ শতাংশের বৃদ্ধির বিষয়টি মোটামুটি নিশ্চিত। লক্ষনীয় যে, এপ্রিলে খাদ্য ও নন- এলকোহোলিক পানীয়র দাম বৃদ্ধি অব্যাহত ছিলো।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button