যুক্তরাজ্যের স্বয়ংক্রিয় কল্যান ব্যবস্থা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ
যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীবর্গ এই মর্মে সতর্কবানী উচ্চারন করেছেন যে, যুক্তরাজ্যের অটোমেটেড ওয়েলফেয়ার সিস্টেম অর্থ্যাৎ স্বয়ংক্রিয় কল্যান ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অধিকতর মানবীয় যোগাযোগ প্রয়োজন। তারা বলেন, প্রতিদিন সাড়ে ৩শ’ স্বল্প আয়ের শ্রমিক ওয়েলফেয়ারের শীর্ষ পর্যায়ে ত্রুটির বিষয়ে অভিযোগ উত্থাপন করছেন, যা তাদের দুর্ভোগ ও মানসিক ক্ষেত্রে চাপ বৃদ্ধি করছে।
তথ্যের স্বাধীনতা সংক্রান্ত অনুরোধে প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের ‘ডিপার্টমেন্ট ফর ওয়ার্ক এন্ড পেনশন্স’ (ডিডব্লিউপি) ২০২২ সালে ১ লাখ ২৬ হাজার ২৮৬ টি বিরোধ নিয়ে কাজ করেছে, যেগুলো তার দশক প্রাচীন অটোমেটেড রিয়েল টাইম ইনফারমেশন (আরটিআই) সিস্টেম সংক্রান্ত ত্রুটি।
টেকনোলজিটি হচ্ছে ইউনিভার্সেল ক্রেডিট (ইউসি) ব্যবস্থাপনায় একটি প্রধান কগ, যা যুক্তরাজ্যের মূল ওয়েলফেয়ার সিস্টেম এবং এটা শ্রমিকদের ওয়েলফেয়ার টপ-আপস স্বয়ংক্রিয়ভাবে এডজাস্ট করতে ট্যাক্স থেকে বেনিফিট পর্যন্ত আয়ের ডাটা প্রবাহ সরবরাহ করে। যখন এতে ত্রুটি বা বিভ্রাট ঘটে, তখন দাবিদাররা এটাকে ‘নরকীয়’ ও ‘ভয়াবহ’ বলে বর্ননা করেন। ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গ- এর গবেষকদের মতে, এসব সমস্যা বিশেষভাবে খন্ডকালীন সিঙ্গেল বা একক মায়েদের ক্ষতি করছে। এজন্য ডিডব্লিউপি সমালোচিত হচ্ছে তাদের স্বয়ংক্রিয় ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পন্থার ক্ষেত্রে উন্মুক্ততার অভাব থাকার কারনে। এসব সংশ্লিষ্টদের যেভাবে ক্ষতি করছে, এটাও সমালোচিত হচ্ছে।
এমিলি নামক জনৈক এডমিনিষ্ট্রেটর বলেন, যখন নিয়োগকর্তা ভুলভাবে তার মাসিক বেতনের অংক দাখিল করেন, তখন তার ৩ শ’ পাউন্ড কর্তন হয়ে যায়। তিনি বলেন, এতে তার যে আর্থিক সমস্যা দেখা দেয়, একজন্য তিনি রাতে ঘুমাতে পারেননি। পরের ২ মাসেও এই ভুল শোধরানো হয়নি। তিনি বলেন, গোটা ব্যবস্থাই গোলমেলে। এসব দুর্ভোগ বৃদ্ধি করছে।
গবেষক মর্গান কারি এবং লেনা পডোলেটজ্ বিষয়টিকে একটি উচ্চ পর্যায়েল বিভ্রাট বলে মন্তব্য করেন, যার বিপুল মানবিক ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে।
ব্রিটেনে ক্রমবর্ধমান অটোমেশন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের মধ্যে অভিযোগগুলো আসছে। পাঁচ বছর আগে, চরম দারিদ্রের ওপর গবেষনাকারী জাতিসংঘের প্রতিবেদক ফিলিপ অ্যাস্টন সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এতে যুক্তরাজ্যের ভঙ্গুর মানবাধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।