লন্ডনে ২০ বিলিয়ন পাউন্ডের বাড়িঘর খালি পড়ে আছে
ফজলু মিয়া: লন্ডন মেয়রের অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী লন্ডনে প্রায় ২০ বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের এম্পটি হোম বা ‘খালি বাড়ি’ রয়েছে। মেয়র সাদিক খান বলেন, খালি অবস্থায় পড়ে থাকা বাড়িঘর একটি কেলেংকারীর বিষয়। তিনি এই ক্রমবর্ধমান সমস্যা মোকাবেলায় মন্ত্রীদের নিকট আরো ক্ষমতা প্রদানের দাবি জানান। সিটি হল এসব খালি বাড়িঘরের মূল্য নির্ধারণে কেন্দ্রীয় সরকারের কাউন্সিল ট্যাক্স ডাটা ও লন্ডন বারার বাড়ির গড় মূল্যকে হিসাবের আওতায় আনেন।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শুধুমাত্র কেনসিংটন ও চেলসি এলাকায় প্রায় ২.২ বিলিয়ন পাউন্ডের সম্পত্তি খালি পড়ে আছে। এছাড়া আরো ৪টি বারার প্রত্যেকটিতে ১ বিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশী মূল্যের বাড়ি খালি পড়ে আছে। লন্ডন বারার বিভিন্ন চালচিত্র প্রতীয়মান। হ্যারোতে রয়েছে ৬১টি খালি সম্পত্তি, যার মোট মূল্য ৩৩.৫ মিলিয়ন পাউন্ড। অন্যদিকে সাউথওয়ার্কে রয়েছে ২ হাজার ৪২২টি খালি সম্পত্তি, যার মোট মূল্য ১.৩ বিলিয়ন পাউন্ড।
গত মাসের প্রথম দিকে দেখা যায় যে, ২০২২ সালের মার্চে লন্ডনে ছিলো রেকর্ড সংখ্যক ৩৪ হাজার ৩২৭টি খালি বাড়ি। যদিও অনেক বিশেষজ্ঞের দাবি, প্রকৃত সংখ্যা এরচেয়ে ৪গুণ বেশী।
লন্ডন মেয়র সাদিক খান বলেন, এতো বাড়িঘর খালি পড়ে থাকার বিষয়টি রীতিমতো কেলেংকারী। তিনি অব্যবহৃত সম্পত্তির ওপর কাউন্সিল ট্যাক্সের নিজস্ব লেভেল বা পর্যায় নির্ধারণে স্থানীয় কর্তৃপক্ষগুলোকে ক্ষমতা প্রদানের জন্য আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, এটা শুধু অনুপস্থিত আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের বাধাগ্রস্তই করবে এমন নয় বরং লন্ডনের বাসিন্দাদের জন্য লন্ডন ব্যাপী বাড়িঘরের মজুত নিঃশ্বেষ করবে। তিনি বলেন, আমরা মন্ত্রীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি ‘এম্পটি ডুয়েলিং ম্যানেজমেন্ট অর্ডারস্ ’ ব্যবহার করে ঐসব খালি বাড়িঘরকে অস্থায়ীভাবে গ্রহণের অনুমতি সহজতর করা হোক, যেগুলো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে।
ওয়েস্ট মিনিস্টার সিটি কাউন্সিলের নেতা অ্যাডাম হাগ মেয়রের এই আহ্বানকে সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি ঘোষিত খালি বাড়িঘরের বৃদ্ধিকে উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেন।