হোয়াইটচ্যাপেলে আশ্রয় প্রার্থীদের রাস্তায় রাত্রি যাপন
যুক্তরাজ্যের হোয়াইটচ্যাপেলে প্রায় ৩০ জন আশ্রয় প্রার্থীকে হোস্টেলের বাইরে রাস্তায় ঘুমাতে দেখা গেছে। হোম অফিস তাদেরকে হোস্টেলের একটি কক্ষে বেড-বেডিং ছাড়াই ৪ জন পর্যন্ত ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে বলায় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা হোস্টেলের বাইরে রাস্তায় রাত কাটান। ঘটনাস্থলে কর্মরত একটি দাতব্য সংস্থা এমন তথ্য জানিয়েছে।
জানা গেছে, এই আশ্রয়প্রার্থী গ্রুপকে গত বুধবার রাত ৯ টায় হোয়াইটচ্যাপেলের একটি হোস্টেলে নিয়ে যাওয়া হয় থাকার জন্য। তাদেরকে বলা হয় ৪ জন করে একটি কক্ষ ব্যবহার করার জন্য। এসব কক্ষে কোন বেড বা বেডিং ছিলো না। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ঐ আশ্রয়প্রার্থীরা বাইরে রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন। এই আশ্রয় প্রার্থী দলটিকে ইলফোর্ডের একটি হোটেল থেকে হোয়াইটচ্যাপেলের এই হোস্টেলে নিয়ে আসা হয়। পূর্ব লন্ডনে কর্মরত আউটরীচ চ্যারিটি ‘কফি আফ্রিক’- এর প্রতিষ্ঠাতা আবদি হাসান এ তথ্য জানান।
মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিগুলোতে দেখা যায়, হোস্টেলের বাইরে স্থানান্তরযোগ্য কার্ডবোর্ডের শয্যায় লোকজন শুয়ে আছেন। চারপাশে ছড়ানো তাদের লাগেজ। এছাড়া বেশ কিছু লোককে গত বৃহস্পতিবার হোস্টেলের বাইরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা যায়, যার দরুন পুলিশ ডাকতে হয়।
মিঃ হাসান বলেন, তাদের অনেকে হোস্টেলে প্রবেশ করেন। তবে তাদের একটি দল প্রবেশ করেনি। কারন তাদেরকে অন্য চারজন লোকের সাথে একটি করে কক্ষ ভাগাভাগি করে থাকতে বলা হয়। এসব কক্ষের অনেকগুরোতে কোন শয্যা বা বিছানাপত্র ছিলো না। এমনকি তাদেরকে খাবারের জন্য ভাউচারও দেয়া হয়নি। টাওয়ার হ্যামলেটস্ কাউন্সিল বেরিয়ে আসে এবং কিছু প্রশ্ন করে চলে যায়। অনুপোযুক্ত বাসস্থানের জন্য এটি এক প্রতিবাদ বলে প্রতীয়মান। তিনি আরো বলেন, আমার মতে এটা একটি ভয়াবহ ব্যাপার ছাড়া আর কিছু নয়। এ মুহূর্তে দেশটি কীভাবে ভেঙ্গে গেছে এর একটি উদাহরন হচ্ছে এটা। তাদের জন্য আর কোন পথ নেই। টাওয়ার হ্যামলেটস্ এর জন্য এটা একটি খারাপ সময়।
হোম অফিসের একজন মুখপাত্র কোন নির্দিষ্ট ঘটনা নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। তবে তিনি বলেন, উপায়ন্তর না থাকায় তারা এই বাসস্থান প্রদান করেন।