এনএইচএস’র ওয়েটিং লিস্টে ৭৪ লাখ রোগী
স্বাস্থ্য বিষয়ক উর্ধ্বতন কর্তাব্যক্তিরা ইংল্যান্ডে চিকিৎসার জন্য অপেক্ষমান রোগীদের তালিকা আরেক দফা রেকর্ড পরিমান বৃদ্ধির জন্য স্টাফ স্বল্পতাকে দায়ী করেছেন। গত এপ্রিলের শেষভাগে চিকিৎসা শুরুর জন্য অপেক্ষমান রোগীর সংখ্যা ৭৪ লাখে উন্নীত হয়।
এনএইচএস এর জনৈক নেতা বলেন, পরিসংখ্যানে প্রতীয়মান হয় যে, অটেকসই চাপ অব্যাহতভাবে অতিরিক্ত বিস্তৃত এনএইচএস এর উপর বোঝা বৃদ্ধি করছে। তিনি সরকারের প্রতি তাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ওয়ার্কফোর্স প্ল্যান- এর প্রকাশনা ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানান, যা উপর্যুপরি মূলতবী করা হয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উন্নতির লক্ষন দেখা গেলেও ইংল্যান্ডে অপেক্ষমান রোগীর তালিকা আবারো দীর্ঘতর হতে দেখা গেছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক অপেক্ষমান রোগীদের সংখ্যা কমিয়ে আনাকে সরকারের ২০২৩ সালের শীর্ষ অগ্রাধিকারের একটি বলে উল্লেখ করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার ডাউনিং স্ট্রিট এই বলে গুরুত্বারোপ করেছে যে, এনএইচএস রোগীদের কাছে অগ্রগতি নিশ্চিত করতে অব্যাহতভাবে কাজ করছে, যা তারা শীঘ্রই দেখতে পাবেন। তারা এনএইচএস এ রেকর্ড সংখ্যক। ডাক্তার ও নার্সের বিষয়ে ইংগিত করে তিনি একথা বলেন।
দেখা গেছে, গত এপ্রিলে চিকিৎসা শুরুর জন্য এক বছরেরও বেশী সময় ধরে অপেক্ষমান রোগীর সংখ্যা ছিলো ৩ লাখ ৭১ হাজার ১১১ জন। আর এপ্রিলের শেষ নাগাদ চিকিৎসা শুরুর জন্য ১৮ মাসেরও বেশী সময় ধরে অপেক্ষা করছেন এমন রোগীর সংখ্যা ছিলো ১১ হাজার ৫০০ জন। মার্চের শেষ দিকে সেই সংখ্যা ছিলো ১০ হাজার ৭০০ জন।
ইতোপূর্বে সরকার ও এনএইচএস ২০২৩ সালের এপ্রিল নাগাদ ১৮ মাস যাবৎ অপেক্ষমান রোগীর সংখ্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো, ব্যতিক্রম হিসেবে জটিল রোগী কিংবা রোগীদের পছন্দের ক্ষেত্র ছাড়া।
এনএইচএস প্রোভাইডার এর ডেপুটি চীফ এক্সিকিউটিভ স্যাফরন কর্ডারি বলেন, চাহিদা এনএইচএস এর ক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আর্জেন্ট ও ইমার্জেন্সী সেবার রেকর্ড চাহিদা মোকাবেলায় ট্রাস্টের কর্তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এএন্ডই বিভাগের জন্য গত মে ছিলো ব্যস্ততম মাস। এসময় প্রায় ২৩ লাখ রোগী আসে এই বিভাগে। দৈনিক ৪ হাজারেরও বেশী এর আগের মাসের চেয়ে।