ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদের হার আরো বাড়াবে
মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় আরো সুদের হার বৃদ্ধির প্রয়োজন হতে পারে। ঋনের ব্যয় বৃদ্ধির ফলে গৃহস্থালীর ওপর ক্রমবর্ধমান চাপ সত্বেও তা করতে হতে পারে। সম্প্রতি থ্রেডনিডল স্ট্রিটের জনৈক সিনিয়র পলিসিমেকার এমন সাবধানবানী উচ্চারন করেছেন। রেইট নির্ধারনকারী মনিটারি পলিসি কমিটির (এমপিসি) জনৈক এক্সটার্নেল মেম্বার জনাথন হ্যাসকেল বলেন, মূল্যস্ফীতির একগুয়ে উচ্চহারের দরুন সুদের হার আরো বৃদ্ধির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না।
ইমপিরিয়েল কলেজের বিজনেস স্কুলের অর্থনীতির অধ্যাপক হ্যাসকেল আরো বলেন, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড গৃহস্থালী ও ব্যবসাসমূহ চাপের মধ্যে আছে এটা স্বীকার করছে। তবে উচ্চমূল্যস্ফীতির ব্যাপক অর্থনৈতিক খেসারতের বিষয়েও ব্যাংক উপর্যুপরি হুঁশিয়ার করেছে। তিনি বলেন, আমার নিজস্ব অভিমত হচ্ছে যে, মূল্যস্ফীতির পূর্ন ঝুঁকির মধ্যে আমাদের সংকুচিত থাকার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ন এবং এর প্রেক্ষাপটে সুদের হারের আরো বৃদ্ধির বিষয়টি উড়িয়ে দেয়া যাবে না।
লক্ষনীয় যে, ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে উপর্যুপরি ১২ বার সুদের হার বৃদ্ধি করেছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। ০.১ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৪.৫ শতাংশ করা হয়েছে, যা ২০০৮ আর্থিক সনের পর থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের। এমপিসি’র পরবর্তী ২২ জুনের সভায় সুদের হার বৃদ্ধির শতভাগ সম্ভাবনার ইংগিত দিচ্ছে আর্থিক বাজার। আর তা হতে পারে কমপক্ষে ৪.৭৫ শতাংশ। এছাড়া চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই তা পৌঁছতে পারে ৫.৫ শতাংশের কাছাকাছি।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ব্রিটেনের হাউজিং মার্কেট ক্রমবর্ধমান চাপের মাঝে পড়েছে এমন প্রত্যাশার মধ্যে যে, যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতি অব্যাহতভাবে উচ্চ থাকার কারনে ব্যাংক সুদের হার আরো বৃদ্ধি করবে। গত এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়ে কম অর্থাৎ ৮.৭ শতাংশ ছিলো। খাদ্য ও পানীয়র ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি জ্বালানীর মূল্যকে একটি স্থির অবস্থান প্রদান করায় এমনটি ঘটেছে। ব্যাংকের মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২ শতাংশ।