‘বরিস জনসনের রাজনৈতিক জীবনের অবসান হয়েছে’
যুক্তরাজ্যের জনৈক সিনিয়র কেবিনেট মিনিস্টার গ্রান্ট শ্যাপস্ বলেছেন, বিশ্ব বরিস জনসনকে ফেলে সামনের দিকে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। পদত্যাগ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা সংক্রান্ত সপ্তাহান্তের গোলযোগ থেকে তার রক্ষনশীল দল মুক্তি খুঁজছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মন্ত্রীসভার এই প্রাক্তন সদস্য পুনরায় ফিরে আসার উত্তপ্ত সম্ভাবনায় রীতিমতো শীতল পানি ঢেলে দিয়েছেন। অবশ্য তার এক হাজার শব্দের বিদায়ী বিবৃতি ওয়েস্টমিনিস্টারে ফিরে আসার ক্ষেত্রে দুয়ার উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
মিঃ শ্যাপস আরো বলেন, রক্ষনশীল দল একটি জনসন প্রশাসনের নাটক মিস্ করে না। আমি নিশ্চিত তার চাওয়ার মধ্যে অন্য অনেক জিনিস তিনি পেয়েছেন এবং করেছেন। তার ফিরে আসার কোন সম্ভাবনা নেই। এখন আমি ভালো করে বলছি, তিনি বলেছেন যে, তিনি আসতে চান না। মিঃ জনসন গত শুক্রবার নাটকীয়ভাবে পদত্যাগ করেন। তিনি দাবি করেন যে, ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে লকডাউনের সময় তিনি পার্লামেন্টকে বিপথে পরিচালনা করেছেন কি-না, এ ব্যাপারে তদন্তকাজে নিয়োজিত একটি পার্লামেন্টারি কমিটি কর্তৃক তিনি ‘উইচ-হান্ট’ এর শিকার। অত্যন্ত ক্রদ্ধু হয়ে তিনি কমিটি ও মিঃ সুনাককে আক্রমন করেন। মিঃ জনসন আরো বলেন, তিনি এখনই পার্লামেন্ট ত্যাগ করছেন।
এ নিয়ে জল্পনা কল্পনা হচ্ছে যে মিঃ জনসন আগামী সাধারন নির্বাচনে অন্য কোথাও থেকে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে পারেন কি-না। তার মিত্র জ্যাকব রীজ-মগের দাবি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী আগামী নির্বাচনে সহজেই পার্লামেন্টে প্রত্যাবর্তন করতে পারবেন। এর অর্থ আগামী বছর তিনি ফিরে আসছেন।
মিঃ জনসনের ভবিষ্যত সম্পর্কে বলতে গিয়ে মিঃ শ্যাপস মন্তব্য করেন, তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং আমার অন্য আরো বেশ কয়েকজনও সহকর্মী পদত্যাগ করবেন। তাদের সকলের সাথে বিশেষভাবে বরিসের সাথে আমি কাজ করেছি। তিনি বলেন, বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি এমন একজন যিনি বর্তমান রাজনীতির দৃশ্যপট থেকে নিজেকে অপসারণ করেছেন, পার্লামেন্টের একজন সদস্য হিসেবে পদত্যাগ করছেন। ঋষি সুনাকের সাথে ১০ নম্বরে আমরা চমৎকার নেতৃত্ব পেয়েছি।
কেবিনেট মিনিস্টার শ্যাপস্ আরো বলেন, লোকজন রক্ষনশীল দল ও তার বাইরে এর সকল নাটক মিস করেন না। মিঃ জনসন একজন এমপি হিসেবে আবার দাঁড়াতে চান, এমন বক্তব্য নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, তিনি ঠিক পদত্যাগই করেছেন মাত্র।
একজন শীর্ষ ভোট বিশেষজ্ঞ সতর্ক করে দিয়ে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ক্যারিয়ারের ইতি ঘটেছে জনগনের মাঝে জনপ্রিয়তা হারিয়ে।