সুদের হার বৃদ্ধিতে বাড়ির মালিকদের নতুন আর্থিক দুর্ভোগ

মানিফ্যাক্টস্ এর বিশ্লেষকদের ডাটা থেকে জানা গেছে, মর্গেজ রেইট বৃদ্ধির ফলে বাড়ির মালিকদের নতুন আর্থিক দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। গত সোমবার থেকে তা শুরু হয়েছে। প্রধান ঋনদাতারা গত জানুয়ারী থেকে মর্গেজের সুদের বিদ্যমান হার প্রত্যাহার কিংবা পুননির্ধারন করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় দুই বছর মেয়াদী মর্গেজ এবং ৫ বছর মেয়াদী মর্গেজের নির্ধারিত সুদের গড় হার নাটকীয়ভাবে হঠাৎ করেই বেড়ে যেতে দেখা যায় গত শুক্রবার। দুই বছর মেয়াদী নির্ধারিত মর্গেজ সুদের হার ৫.৭২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এটা গত ৯ জানুয়ারীর পর থেকে সর্বোচ্চ। অপরদিকে ৫ বছর মেয়াদী নির্ধারিত মর্গেজের সুদের হার ৫.৪১ শতাংশে পৌঁছেছে। এটা গত ১৬ জানুয়ারী থেকে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
আগামী মাসগুলোতে বহু সংখ্যক বাড়ির ঋন পুনমর্গেজের প্রাক্কালে সর্বশেষ বৃদ্ধিটি এসেছে। জিএএম ইনভেস্টমেন্টস্ এর বিনিয়োগে ব্যবস্থাপক বলেন, চলতি বছর প্রায় ১৩ লাখ গৃহস্থালীকে তাদের মর্গেজ সুদের হার পুননির্ধারনের প্রয়োজন হবে। বছরের শেষ ৬ মাসে আরো ৬ লাখ ৪০ হাজার লোকের চুক্তি শেষ হয়ে যাবে। মূল্যস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়ে বেশী জটিল হওয়ার দরুন মর্গেজের হারে উত্থান ঘটেছে। গত মার্চে সিপিআই রেইটে এপ্রিলের ৮.৭ শতাংশ থেকে মার্চের ১০.১ শতাংশ পর্যন্ত পতন লক্ষনীয়, যা সিটি’র প্রত্যাশিত রেইটের চেয়ে কম।
লিবারেল ডেমোক্রাট ট্রেজারি মুখপাত্র সারাহ অলনী রিচমন্ড পার্ক বলেন, সরকারের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অথর্ব দশা পরিবারগুলোকে অশ্রুসিক্তকারী মর্গেজ ব্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। কিন্তু জনৈক রক্ষনশীল ট্রেজারি মুখপাত্র বলেন, বিশ্বব্যাপী কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মূল্যস্ফীতি মোকাবেলার লক্ষ্যে একটি সামগ্রিক প্রচেষ্টা হিসেবে সুদের হার বৃদ্ধি করছে। করোনা মহামারি ও পুতিনের যুদ্ধের ফলে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। অবশ্য মর্গেজ বিলের বৃদ্ধির কারন হিসেবে এখনো কিছুটা দোষারোপ করা হচ্ছে লিজ ট্রাসের স্বল্পকালীন প্রধানমন্ত্রীত্বের সময়ে অর্থমন্ত্রী কাওয়াসি কাওয়ারটেং এর বিপর্যয়কর মিনি বাজেটকে। ইতোমধ্যে নতুন পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন ফার্স্ট টাইম বায়ার অর্থ্যাৎ প্রথমবারের মতো ক্রেতারা মর্গেজ রেইট বৃদ্ধির কারনে ৩৫ বছরেরও বেশী সময়ের মর্গেজ থেকে বেরিয়ে আসছেন। গত মার্চে এধরনের ৩৫ বছরের মর্গেজ থেকে রেকর্ড ১৩ শতাংশ ফার্স্ট টাইম ক্রেতাদের বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button