ব্রিটেনের অর্ধেক মানুষ মনে করেন ঋষি সুনাক প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ব্যর্থ
ব্রিটেনের অধিকাংশ মানুষ মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক তার প্রতিশ্রুতিসমূহ ভালোভাবে রক্ষা করছেন না। বছরের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী ৫ টি অগ্রাধিকারের কথা ঘোষনা করেন। এগুলো হচ্ছে মূল্যস্ফীতি অর্ধেকে নামিয়ে আনা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, এনএইচএস- এর ওয়েটিং লিস্ট হ্রাস, জাতীয় ঋন কমানো এবং ক্ষুদ্র নৌকায় যুক্তরাজ্যে আসা বন্ধকরন।
বছরের অর্ধেক অতিক্রান্ত হওয়ার পর ইপসোস কর্তৃক পরিচালিত এক জরীপে দেখা গেছে, দেশের অর্ধেকেরও বেশী লোক মনে করেন, সরকার ঐসব অগ্রাধিকারের অধিকাংশের ব্যাপারে ব্যর্থ হয়েছে। এটা ২০২২ সালের ৩৭ শতাংশের সাথে তুলনীয়। একই ধরনের জরীপ অনুষ্ঠিত হয় গত বছরের এপ্রিল মাসে। সরকারের প্রতি আরেকটি আঘাত হয়ে দেখা দিয়েছে জরীপে অংশগ্রহনকারীদের আরেকটি মন্তব্য। তারা বলেছেন, লেবার পার্টির নেতা কেইর স্টার্মার এর চেয়ে ভালো কাজ করতেন।
ইপসোস এর রাজনৈতিক পরিচালক কেইরেন পেডলী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্য এতগুলো বিষয় মোটেই ভালো খবর নয়। তিনি আরো বলেন, এসব প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে জনগনের স্বাভাবিক ধারনা হচ্ছে, সরকার ঐসব ক্ষেত্রে খুবই খারাপ করছে, যেগুলোর ওপর সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দেয়া দরকার।
জরীপ অনুসারে, সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকার ছিলো জীবনযাত্রার ব্যয় হ্রাস করা (৫৯ শতাংশের মত), এর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে, জনগনের জন্য এনএইচ- এর অধিকতর দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করা (৫৪ শতাংশের মত) এবং এনএইচএস -এর অপেক্ষমান রোগীর তালিকা হ্রাস করা (৫১ শতাংশের মত)। কিন্তু জরীপে অংশগ্রহনকারীদের ৬০ শতাংশ এই মর্মে জোর দেন যে, জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর ক্ষেত্রে সরকারের তৎপরতা খারাপ। মাত্র ১৪ শতাংশ লোক বলেন যে, এক্ষেত্রে সরকার ভালো করছে। আর ৬২ শতাংশ মনে করেন, এনএইচএস এর ওয়েটিং লিস্ট কমাতে সরকার কাজ করছে না।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বিষয়ে, যাকে ৩৯ শতাংশ লোক তাদের একটি অগ্রাধিকার বলে মনে করেন, বলেন, সরকার এক্ষেত্রে ব্যর্থ হচ্ছে (৫৩ শতাংশ)। ক্ষুদ্র নৌকায় আগমন ও বহিষ্কার সাধারন জনগনের কাছে একটি নিম্ন অগ্রাধিকার হিসাবে এতে প্রতীয়মান। মাত্র ২৯ শতাংশ লোক বিষয়টি উল্লেখ করেন। ইতোমধ্যে, মাত্র ১৫ শতাংশ লোক বলেন, তারা মনে করেন জাতীয় ঋন হ্রাসকরণ গুরুত্বর্পূন বিষয়।