আলোচনায় বসার পরামর্শ
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র বাইরেও অন্যান্য দলের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। দলগুলোর নেতারা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে কেউ বলছেন ইতিবাচক। আবার কেউ বলছেন, এতে সঙ্কট সমাধানের নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে বিরোধী দলকে আলোচনায় আসার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, নির্দলীয় সরকার নিয়ে সৃষ্ট সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব ইতিবাচক। প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে বিরোধী দলের ইতিবাচক ভূমিকা দেখিয়ে আলোচনায় আসার পরামর্শ দেন তিনি।
জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম মনে করেন, বিরাজমান সঙ্কট উত্তরণে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সহায়ক ভূমিকা রাখবে না। তার ভাষণে স্পষ্ট হয়েছে যে, সংসদ বহাল রেখেই নির্বাচন করা হবে। সংসদ বিলুপ্তির ব্যাপারে তিনি কিছু বলেননি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরিবর্তে তিনি সর্বদলীয় সরকারের কথা বলেছেন। দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পরিবর্তে বিরোধী দলকে তিনি সংসদে এসে প্রস্তাব দেয়ার কথা বলেছেন। সর্বদলীয় সরকারের কথা বললেও প্রতিনিধিত্ব কিভাবে হবে তা পরিষ্কার করেননি। প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব বিরোধী দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না বলেই শেখ শহীদুল হক মনে করেন।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দেশবাসীকে হতাশ করেছে। মানুষ উৎসাহ নিয়ে অপেক্ষা করেছিল একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানের। কিন্তু মানুষ চরমভাবে হতাশ হয়েছে। মানুষ তার কাছে সর্বদলীয় সরকার চায়নি, চেয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। প্রধানমন্ত্রীকে রেফারি হিসেবে দেশবাসী দেখতে চায় না।
সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে সৃষ্ট সঙ্কটের সমাধান হবে না। তিনি শুধু বিএনপি-জামায়াতকে নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কথা বলেছেন। সিপিবিসহ অন্যান্য দলের কথা বলেননি। সঙ্কটের সমাধান করতে হলে সব দলের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।