মর্গেজ ব্যয় বৃদ্ধি চাপানো হচ্ছে ভাড়াটেদের ঘাড়ে
হাসনাত চৌধুরী: আশংকা করা হচ্ছে, যুক্তরাজ্যে মর্গেজ রেইট সংকটের দরুন লাখ লাখ মানুষ তাদের ঘর ভাড়া প্রদানে অক্ষম হওয়ার পাশাপাশি গৃহ হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। সম্প্রতি হোমলেসনেস চ্যারিটি এমন আশংকা ব্যক্ত করেছে। তাদের মতে, যুক্তরাজ্যের লাখ লাখ ভাড়াটে লোকজন ভাড়া বৃদ্ধির সম্মুখীন। তাদের বাড়ির মালিকেরা মর্গেজ ব্যয় বৃদ্ধির দায় তাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছেন। জীবনযাত্রার এই ব্যয় সংকটের সময় এধরনের রেকর্ড ভাড়া বৃদ্ধি তাদেরকে চরম বিপাকে ফেলেছে।
প্রোপার্টি এক্সপার্টগন ও চ্যারিটিসমূহ ব্যাংক অব ইংল্যান্ড কর্তৃক নির্ধারিত ঋনের দ্রুত ব্যয় বৃদ্ধির ব্যাপারে সতর্ক করেছেন, যা চলতি সপ্তাহে ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা মালিক দখলকারদের মর্গেজ ব্যয়ের চেয়ে অনেক বেশী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এতে স্বল্পব্যয়ের হাউজিংয়ে একটি ব্যাপক সংকট সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
হোমলেসনেস চ্যারিটি ক্রাইসিস এর প্রধান নির্বাহী মাট ডাউনি বলেন, লাখ লাখ লোক তাদের ঘরভাড়া প্রদানে অক্ষম হয়ে পড়তে পারে এবং তাদের বাড়িঘর হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে। তিনি বলেন, মর্গেজ ব্যয় বৃদ্ধির ফলে আমরা দেখতে পাচ্ছি, এসব ব্যয় ভাড়াটেদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে এবং এটা করা হচ্ছে এমন এক পর্যায়ে যখন জ্বালানী ও খাদ্যসামগ্রীর দাম উচ্চ। এতে ভাড়াটেরা অসহনীয় চাপের মধ্যে নিপতিত হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, স্বল্প আয়ের ভাড়াটেরা রীতিমতো বিপর্যয়ের মুখে, তা হাউজিং বেনিফিটের ওপর নির্ভর করতে পারছেন না, কারন এটা ২০২০ সালের মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে। এছাড়া এটা সম্পূর্ন অপ্রতুল। এদিকে আশপাশে পর্যাপ্ত সোশ্যাল হাউজিং নেই এবং ১০ লাখেরও বেশী গৃহস্থালী আমাদের হাতে থাকা গুটিকয়েক প্রকৃত স্বল্প ব্যয় সাপেক্ষ বাড়িঘরের জন্য অপেক্ষায় আছে।
চলতি সপ্তাহের অফিশিয়াল পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এপ্রিলে প্রাইভেট রেন্টাল কস্ট বার্ষিক ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ২০১৬ সালের জানুয়ারী থেকে এপর্যন্ত রেকর্ড পরিমান গতিতে বেড়েছে। আর লন্ডনে ২০০৬ সালের পর সবচেয়ে রেকর্ড দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে।