রুয়ান্ডায় আশ্রয়প্রার্থীদের প্রেরনে জনপ্রতি ব্যয় ১ লাখ ৭০ হাজার পাউন্ড
যুক্তরাজ্য সরকারের ‘অবৈধ অভিবাসন বিল’ এর মূল্যায়নে দেখা গেছে যে, প্রত্যেক ব্যক্তিকে রুয়ান্ডায় প্রেরনে কর দাতাদের টাকা থেকে খরচ পড়ছে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার পাউন্ড। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আশ্রয় পদ্ধতিতে জনপ্রতি ব্যয় ১ লাখ ৬ হাজার পাউন্ড। এর অর্থ হচ্ছে, রুয়ান্ডায় নিয়ে যেতে আরো ব্যয় হবে ৬৪ হাজার পাউন্ড। সরকারের যুক্তি হচ্ছে, এই নীতি একটি অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করবে। তবে ব্রিটিশ অভিবাসন মন্ত্রী রবার্ট জেনরিক গত এপ্রিলে বলেন যে, গত ২ বছরে ক্ষুদ্র নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়ার সংখ্যা ৪শ’ শতাংশেরও বেশী বেড়েছে। গত সপ্তাহান্তে ৩ দিনে সহস্রাধিক লোক ক্ষুদ্র নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়।
রুয়ান্ডায় শরনার্থীদের পাঠানোর বিষয়টি ইল্লিগ্যাল মাইগ্রেশন বিল বা অবৈধ অভিবাসন আইনের একটি অংশ, যাতে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে আগত অভিবাসীদের একটি তৃতীয় নিরাপদ দেশে পাঠানো হবে। আগামী বৃহস্পতিবার একটি আদালত এই মর্মে একটি রুল জারি করবে যে, যুক্তরাজ্যে আশ্রয়প্রার্থী লোকজনকে রুয়ান্ডায় প্রেরন, যেখানে তাদের আশ্রয়ের দাবি প্রোসেস করা হবে, বৈধ কি-না। গত এপ্রিলে বিভিন্ন মেডিকেল সংস্থার ৮৩০ জনেরও বেশী হেলথকেয়ার পেশাজীবি আশ্রয় প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় প্রেরনের পরিকল্পনার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী বরাবরে লিখিত একটি চিঠিতে তারা এই বলে সতর্ক করে দেন যে, এধরনের পদক্ষেপ সংশ্লিষ্ট লোকজনের জন্য বিপর্যয়কর মানসিক ও শারীরিক ক্ষয়ক্ষতির কারন হতে পারে।
এমপি ও তাদের সহকর্মীরা বলেন যে, বিলটি অনেকগুলো মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতা লংঘন করছে এবং এটা মানবপাচার ও আধুনিক দাসত্বের ভিকটিমদের ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
গত মার্চে রিফিউজি কাউন্সিল বলে যে, এই আইনের অধীনে ৪৫ হাজারেরও বেশী শিশু বন্দীত্ব দশায় পড়তে পারে। এছাড়া এই আইন সরকারকে অনিয়মিত রাস্তাসমূহ দিয়ে দেশটিতে প্রবেশকারী লোকজনকে আশ্রয়ের আবেদন অস্বীকারের ক্ষমতা প্রদান করবে এবং বহিষ্কৃত হওয়ার পরে লোকজনকে তাদের বহিষ্কারের বিরুদ্ধে আপীল থেকে বিরত রাখবে। গত জানুয়ারীতে লন্ডনের একটি আদালত একটি চ্যারিটিকে আপীল মঞ্জুর করে, যারা রুয়ান্ডায় আশ্রয় প্রার্থীদের প্রেরন বৈধ বলে সিদ্ধান্ত প্রদানকারী একটি আদালতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে।