‘বেসরকারী খাতের ব্যবহার ছাড়া এনএইচএস ধ্বংস হয়ে যাবে‘
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার এই বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন যে, এনএইচএস কোন মৌলিক সংস্কার ছাড়াই বিলীন হওয়ার পথে ধাবিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রাইভেট সেক্টরের একটি বৃহত্তর ভূমিকাকে অবজ্ঞা করা হচ্ছে। এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য সেবার ভবিষ্যত সুরক্ষার জন্য সাহসী রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এনএইচএস’র ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি বলেন, প্রযুক্তি বিপ্লবকে সম্পূর্ন ধারন ছাড়া এনএইচএস এর কোন ভবিষ্যত নেই। তিনি রোগীদের অপেক্ষার সময় হ্রাসের জন্য সেবা ক্ষেত্রে প্রাইভেট হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার অর্থ্যাৎ বেসরকারী স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের অধিকতর ব্যবহারেরও আহ্বান জানান। স্বাস্থ্যসেবা লাভের বিষয়টি ত্বরান্বিত করতে রোগীদের অর্থ প্রদানের অনুমতি দেয়া উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন। সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ একজন জিপি’কে দেখাতে রোগীদের ফী দেয়া উচিত বলে বক্তব্য রাখার পর স্যার টনি ব্লেয়ার উপরোক্ত মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, এনএইচএস এসময়ে স্থবির এবং তুলনীয় দেশসমূহে ব্যবহৃত মডেলসমূহের সাথে তুলনা করার জন্য তার একটি অনুসন্ধান প্রয়োজন।
টনি ব্লেয়ার ইনস্টিটিউট কর্তৃক সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই সাবেক লেবার নেতা বলেন, এনএইচএস এর এখন প্রয়োজন একটি মৌলিক সংস্কার, অন্যথায় এর প্রতি সমর্থন হ্রাস পাবে। নব্বইয়ের দশকের ন্যায় এনএইচএস-কে হয় পরিবর্তন করতে হবে, নতুবা ক্ষয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন যে, উৎকর্ষ সাধনের বিভিন্ন পন্থা থাকা সত্বেও এনএইচএস অন্যান্য দেশের তুলনায় স্বাস্থ্যসেবায় পিছিয়ে পড়ছে। কারন এর অনেক সেবা শ্লথ অবস্থায় রয়েছে এবং ডিজিটালে রূপান্তরের ক্ষেত্রে সাড়াহীন হয়ে আছে।
টনি ব্লেয়ার আরো বলেন, এনএইচএস অ্যাপ প্রাইভেট খাতের সাথে অংশীদারিত্বের দুয়ার উন্মুক্ত করে দিয়েছে বিভিন্নভাবে, যা ইতোপূর্বে সম্ভব ছিলো না। এই অ্যাপ অধিকতর ব্যাপক পছন্দ ও প্রতিযোগিতার সুযোগ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, পরিবর্তন কখনোই সহজ নয় এবং এজন্য প্রয়োজন সাহসী রাজনৈতিক নেতৃত্ব। যদি আমরা তা করতে না পারি, তবে এনএইচএস নিম্নগামী হয়ে যাবে এবং আমাদের জনগন ও অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হয়ে পড়বে।