এক বছর ধরে অপেক্ষমাণ রোগীদের সংখ্যা ১৫ শতাংশ বেড়েছে
ইংল্যান্ডের এনএইচএস-এ চিকিৎসার জন্য এক বছর ধরে অপেক্ষমাণ রোগীদের সংখ্যা গত এক বছরে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এক নতুন গবেষণায় এমন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের পাঁচটি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির অন্যতম হচ্ছে এন এইচ এস-এর অপেক্ষমান তালিকা কমিয়ে আনা। আগামী নির্বাচনের পূর্বে ঋষি সুনাক প্রদত্ত এ ওয়াদার প্রেক্ষাপটে এই গবেষণার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। অপরদিকে লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা বলেছেন, এন এইচ এস-এর পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে যে, গত মে পর্যন্ত ১২ মাস ধরে অপেক্ষমান রোগের তালিকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এনএইচএস ইংল্যান্ডের উপাত্তে দেখা গেছে যে, ২০২২ সালের মে মাসে ৩ লাখ ৩৩ হাজার ১১৯ জন রোগী ৫২ সপ্তাহ যাবত চিকিৎসার জন্য অপেক্ষমাণ ছিলেন। এদিক দিয়ে নর্থ ওয়েস্ট এলাকায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পীড়িত হচ্ছে ট্রাফোর্ড ইনটেগ্রেটেড কেয়ার বোর্ড এবং ম্যানচেস্টার আইসিবি। এসব এলাকায় অপেক্ষমাণ তালিকার প্রায় ১৩ শতাংশ রোগী কমপক্ষে ১২ মাস যাবত অপেক্ষা করছেন চিকিৎসার জন্য। ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ পোর্টের মতোই প্রতি ১০জনে একজন রোগী মে মাসে কমপক্ষে গত এক বছর যাবত চিকিৎসা সেবার আশায় অপেক্ষা করছেন নর্থ ওয়েষ্টের সান্ডারল্যান্ডে ইংল্যান্ডের আইসিবিসমুহের মধ্যে সবচেয়ে কম রোগী অপেক্ষমান। এখানে এক বছর ধরে অপেক্ষা করছেন এমন রোগীর সংখ্যা মাত্র ১ শতাংশেরও কম।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি স্বাস্থ্য ও সমাজসেবা বিষয়ক মুখপাত্র ডেইজি কুপার বলেন, ঋষি সুনাক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে এনএইচএস এর অপেক্ষমান রোগের তালিকা হ্রাস হবে। কিন্তু এর পরিবর্তে এটা আরো বাড়ছে। চিকিৎসার জন্য অপেক্ষমান রোগীর সংখ্যা হাজারো সংখ্যক বেড়েছে। এসব পরিসংখ্যান একটি কঠোর পোস্টকোড লটারি উন্মোচন করেছে যেখানে অনেক এলাকায় প্রতি আটজনে একজনেরও বেশি রোগীকে এক বছর বা তদূর্ধ সময় ধরে এনএইচএস চিকিৎসা সেবার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যাচ্ছে। ক্রমবর্ধমান এক বছর যাবৎ অপেক্ষমান রোগীদের তালিকা নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতার দরুন লোকজন সুস্থ হয়ে কাজে ফিরতে পারছে না, যা রোগীদের দুর্ভোগের পাশাপাশি অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে মারাত্মকভাবে।