লন্ডনের হাউজিং সমস্যা শীঘ্রই দূর হবে না

বসবাসের জন্য লন্ডন সর্বোত্তম জায়গা। কিন্তু সমস্যা অন্য কোথাও। দশক ব্যাপী বাড়ির মূল্যবৃদ্ধি লাখ লাখ মানুষকে বাড়ির মালিক হওয়া থেকে নিবৃত্ত রেখেছে, কারণ তাদেরই ব্যয়যোগ্য আয়ের অর্ধেকেই চলে যাচ্ছে বাড়ির ভাড়া বাবদ। ঋষি সুনাক রাজধানীর আবাসন সংকট নির্ধারণে পদক্ষেপ নিয়েছেন। ঘোষণা করেছেন আরও ২০০ মিলিয়ন পাউন্ডের প্যাকেজ। এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ওল্ড এন্ড ওয়েস্ট এর জন্য ৫৩ মিলিয়নের প্যাকেজ এবং লন্ডন বারাসমুহের বাড়িঘর নির্মাণের জন্য সরাসরি ১৫০ মিলিয়ন পাউন্ড।
লন্ডন মেয়র সাদিক খানকে লন্ডনের প্রয়োজন অনুযায়ী বাড়িঘর প্রদানে ব্যর্থ হয়েছেন বলে আচ্ছা ধোলাই দেয়ার জন্য সময় বাকি আছে এখনো।
অপর্যাপ্ত হলেও আমরা রাজধানীর জন্য বৃহত্তর বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই। প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টই প্রচারণার মেজাজে আছেন এবং আমরা সকল দলের মধ্যে প্রতিযোগিতাকে উৎসাহিত করবো যারা লন্ডনে সবচেয়ে বেশি নতুন বাড়িঘর সরবরাহ করবে। কিন্তু করুণ বাস্তবতা হচ্ছে যে, এই সংকট আরো বহুদিন দিন গড়াবে।
সম্প্রতি লন্ডন বারাসমূহের প্রতিবেদনে বাড়িঘর সরবরাহে সংকোচনের ফলে সৃষ্ট অবনতিশীল পরিস্থিতি বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। এতে তুলে ধরা হয়েছে লন্ডনের বাসিন্দাদের হন্য হয়ে স্বল্প বাড়ার বাড়িঘর খোঁজার বিষয়টি।
ক্যানসিংটন অ্যান্ড চেলসি কাউন্সিলর হাউজিং বিষয়ক পরিচালক কজো সারপং বলেন, আমরা আবাসনের ক্ষেত্রে সংকট থেকে জরুরী পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হচ্ছি।
সামগ্রিক দিক দিয়ে গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাইভেট খাতে ভাড়া গ্রহণের জন্য লভ্য লন্ডনের বাড়ি ঘরের সংখ্যা মহামারীর পর থেকে ৪১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বর্তমানে ভাড়ার পরিমাণ ২০২০ সালের মার্চের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। লন্ডন কাউন্সিলস এক্সিকিউটিভ মেম্বার ফর রিজেনারেশন হাউজিং এন্ড প্লানিং ড্যারেন রডওয়েল বলেন, রাজধানীর ভেঙে পড়া হাউজিং মার্কেটের অবস্থা খারাপ থেকে আরো খারাপ হচ্ছে।
লন্ডনের দেড় লক্ষাধিক বাসিন্দা কে বাণিজ্যিক হোটেল রুম সহ অস্থায়ী বাড়ি ঘরে বাস করতে হচ্ছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button