বিশেষজ্ঞদের ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য
যুক্তরাজ্যে ১ লাখ ৩১ হাজার শিশু অস্থায়ী বাড়িতে বাস করছে
এনাম চৌধুরী: চলতি সপ্তাহের শুরুতে পরিচালিত এক বিশেষ অনুসন্ধানে জানা গেছে, যুক্তরাজ্যে রেকর্ড সংখ্যক ১ লাখ ৩১ হাজার শিশু অস্থায়ী বাসস্থানে বসবাস করছে। রেকর্ড সংখ্যক বাধ্য হচ্ছে অস্থায়ী বাসস্থানে বাস করতে, যাকে বিশেষজ্ঞরা লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন। এই অনুসন্ধানে দেখা গেছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষসমূহের একটি বড়ো অংশ গত এক বছরে একটি মাত্র বাড়িও নির্মান করতে ব্যর্থ হয়েছে, ফলে বাড়ির জন্য অপেক্ষমান তালিকা শুধুই দীর্ঘ হয়েছে। সাম্প্রতিক অফিশিয়াল পরিসংখ্যানসমূহে দেখা গেছে, চলতি বছরের মার্চের শেষে ১ লাখ ৫ হাজার গৃহস্থালী অস্থায়ী বাসস্থানে আছে, যা গত ২৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই পরিসংখ্যানে ১ লাখ ৩১ হাজার শিশু অন্তর্ভূক্ত।
২০০৪ সালে এ বিষয়ে রেকর্ড শুরুর পর থেকে এটা সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। এ বিষয়ে প্রচারাভিযান পরিচালনাকারীরা স্বল্পব্যয়ের বাড়িঘর তৈরীতে সহায়তা প্রদানে সরকারের ব্যর্থতার নিন্দা করেছেন এবং এই বলে সতর্কবানী উচ্চারন করেছেন যে, সোশ্যাল হোম নির্মানে ফাঁকা বুলির দিন অতীত হয়ে গেছে। ‘ক্রাইসিস’ সংস্থার চীফ এক্সিকিউটিভ ম্যাট ডাউনি বলেন, হাউজিং বেনিফিটে বছরের পর বছর যাবৎ দুর্বল বিনিয়োগ এবং সোশ্যাল হাউজিং নির্মানে লজ্জাজনক ঘাটতির দরুন পরিবারগুলো অস্থায়ী বাসস্থানের ফাঁদে আটকা পড়েছেন। তিনি আরো বলেন, লোকজন যে শুধু একটি বাড়ির স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা থেকেই বঞ্চিত হচ্ছে এমন নয়, বরং কখনো কখনো তাদেরকে একটি কক্ষে বসবাস করতে হচ্ছে, যেখানে রান্না কিংবা ধৌতকরনের কোন আলাদা স্থান নেই।
তিনি বলেন, দেশব্যাপী গৃহস্থালীগুলো মরিয়া হয়ে সোশ্যাল হোম চাইছে। ছায়া গৃহহীনতা বিষয়ক মন্ত্রী পাওলা বার্কার বলেন, পরিসংখ্যানগুলো সরকারের রেকর্ডের একটি লজ্জাজনক ইংগিত, যা বিপর্যয়কর পরিনতি বয়ে এনেছে পরিবার ও শিশুদের জন্য। ১৯৯৮ সালে রেকর্ড লিপিবদ্ধকরন শুরুর পর থেকে চলতি বছরের মার্চের শেষে অস্থায়ী বাসস্থানে বসবাসকারী গৃহস্থালীর সংখ্যা ছিলো ১ লাখ ৪ হাজার ৫১০ টি, যা রেকর্ড সংখ্যক। অথচ ১৯৯৮ সালে এই সংখ্যা ছিলো শিশুসহ মাত্র ৬৪ হাজার ৯৪০ টি। উভয় পরিসংখ্যানই গত বছরের একই সময়ে ছিলো প্রায় ১০ শতাংশ বেশী।