মুসলিম দেশসমূহের তীব্র প্রতিবাদ ও কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়ার ফলশ্রুতি

অবশেষে ডেনমার্ক ও সুইডেন কোরআন অবমাননা নিষিদ্ধ করবে

বিশ্বব্যাপী তীব্র প্রতিবাদ ও মুসলিম দেশসমূহের কূটনৈতিক প্রতিক্রিয়ার ফলশ্রুতিতে ডেনমার্ক ও সুইডেন পবিত্র কোরআন পোড়ানো নিষিদ্ধ করার বিষয়টি বিবেচনা করছে। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে ডেনমার্ক বলেছে, তারা সাংস্কৃতিক ও ধর্মভিত্তিক হামলাসমূহের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের কথা বিবেচনা করছে এবং বলেছে, দেশটিতে কোরআন পোড়ানোর লক্ষ্য হচ্ছে উস্কানি দেয়া ও ডেনমার্কসহ অন্যান্য দেশের ক্ষতিসাধন। কোপেনহেগেন আরো বলেছে যে, কোরআন পোড়ানোর ঘটনার কারনে ১৫ টি দেশ ডেনমার্কের প্রতি নিন্দা জ্ঞাপন করেছে, যাকে তারা একটি চরম আগ্রাসী ও বেপরোয়া কাজ বলে আখ্যায়িত করেছে এবং বলেছে এটা ডেনমার্কের সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে না।
কোপেনহেগেন আরো বলেছে, ডেনমার্ক সম্ভবত: সেসব ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে, যেসব বিষয় অন্যান্য দেশ, সংস্কৃতি ও ধর্মকে হেয় করে। দেশটির নিরাপত্তার জন্য বিরূপ পরিনতি সৃষ্টিকারী এসব নেতিবাচক কর্মকান্ড প্রতিরোধে তারা পদক্ষেপ নেবে।
একটি আলাদা বিবৃতিতে সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন বলেন, এধরনের একটি প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে চলমান। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে সুইডেন দেশসমূহ ও দেশের ন্যায় কুশী লবদের সমর্থিত কর্মকান্ডের বিষয়ে প্রভাব রাখতে শুরু করেছে, যাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য হচ্ছে সুইডেন ও সুইডেনের স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করা।
লক্ষনীয় যে, ইতোপূর্বে একাধিকবার কোরআন পোড়ানোর ন্যাক্কারজনক ঘটনাকে মত প্রকাশের স্বাধীনতা বলে এতে বাধা দিতে অস্বীকার করে সুইডিশ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু উপর্যুপরি এধরনের বিদ্বেষপ্রসূত জঘন্য ঘটনার পর বিশ্বের মুসলিম দেশসমূহ ও জনগোষ্ঠী সোচ্চার হয়ে ওঠলে এখন সুর পাল্টেছে ডেনমার্ক সরকার। কোরআন পোড়ানোর ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তুরস্ক ও সৌদী আরবসহ বিশ্বের সবক’টি মুসলিম দেশ। প্রতিবাদ জানিয়েছে মুসলিম দেশসমূহের সংগঠন ওআইসি।
তুরস্ক হুমকি দিয়ে বলেছে, সুইডেনে কোরআন পোড়ানো বন্ধ না হলে তুরস্ক সুইডেনের ন্যাটোতে অন্তর্ভূক্ত হতে সমর্থন দেবে না। আর এর অর্থ হচ্ছে, সুইডেন ন্যাটোর সদস্য হতে পারবে না। সম্প্রতি সৌদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুইডিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করে পবিত্র কোরআনের অবমানার সকল প্রচেষ্টাকে সম্পূর্ন প্রত্যাখ্যানের কথা জানিয়েছেন। এভাবে মুসলিম দেশসমূহ ও বিশ্বের মুসলিম জনগোষ্ঠী যখন কোরআন পোড়ানো তথা কোরআন অবমাননার বিরুদ্ধ ফুঁসে ওঠেছেন, তখন বাধ্য হয়ে সুইডেন সরকার এধরনের জঘন্য কর্মকান্ড নিষিদ্ধের পদক্ষেপ নেয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে। অনেকে বলছেন, একেই বলে, ঠ্যালার নাম বাবাজী!

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button