যুক্তরাজ্যে লাখ লাখ মানুষের বেতনের অর্ধেক চলে যাচ্ছে বাড়ি ভাড়ায়
বাড়ির ভাড়াটেরা বাড়ির মালিকের আয়ের চেয়ে প্রায় চারগুন বেশী অর্থ ব্যয় করছেন ভাড়া বাবদ। এটাকে ক্রমবর্ধমান হাউজিং সংকটের সর্বশেষ লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। দেখা গেছে, বর্তমানে লাখ লাখ লোককে ভাড়া বাবদ তাদের বেতনের কমপক্ষে অর্ধেক ব্যয় করতে হচ্ছে। আর প্রাইভেট ভাড়াটেরা তাদের আয়ের এক তৃতীয়াংশেরও বেশী দিতে হচ্ছে ল্যান্ডলর্ড অর্থ্যাৎ বাড়ির মালিককে।
গত মাসে পরিচালিত এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, স্থানীয় কাউন্সিলের অধিকাংশই গত পাঁচ বছরে একটি মাত্র বাড়িও তৈরী করতে পারেনি, যদিও ওয়েটিং লিস্টে ১২ লাখ লোক বাড়ির অপেক্ষায় রয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা সরকারের বাড়িঘরের পরিকল্পনাকে ‘অতিশয় ক্ষুদ্র, অত্যন্ত বিলম্বে’ বলে অভিহিত করেছেন। অথচ হাউজিং মন্ত্রী মাইকেল গোভ বলেছেন, এক বছরে ৩ লাখ বাড়ি তৈরীর টার্গেট কখনো বাধ্যতামূলক ছিলো না। লেবার পার্টি বলেছে, পরিসংখ্যান থেকে প্রতীয়মান হয় যে, ভাড়ার ব্যয়বৃদ্ধি ও বাড়ি কেনার বিপুল ব্যয়বৃদ্ধির দ্বিমুখী চাপে পড়ে ভাড়াটেদের বাড়ির মালিক হওয়ার স্বপ্ন সুদূর পরাহত হয়ে পড়েছে। সরকার বলেছে, তারা ভাড়া পদ্ধতি সংস্কারকে এগিয়ে নিচ্ছে এবং ইতোমধ্যে হাউজিংয়ে বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করেছে। তবে চ্যারিটিগুলো বলেছে, একটি ব্যাপক গৃহনির্মান কর্মসূচী আবশ্যক। এতে ভাড়া বৃদ্ধির সীমা এবং সবচেয়ে দুর্ভোগ পীড়তদের সহায়তার ব্যবস্থা থাকা দরকার।
রিজোলিউশন ফাউন্ডেশন -এর একটি নতুন বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষনে দেখা গেছে, ভাড়াটেরা ২০২১-২২ সালে তাদের আয়ের ৩৪ শতাংশ ব্যয় করেছেন বাড়ি ব্যয় বাবদ। অপরদিকে বন্ধকগ্রহীতাদের ব্যয় করতে হয়েছে মাত্র ৯ শতাংশ। থিংক ট্যাংক এর সিনিয়র অর্থনীতিবিদ কারা প্যাসিট্রি বলেন, বাড়ির মালিকদের মূল্য বৃদ্ধি সত্বেও প্রাইভেট রেন্টিং অর্থ্যাৎ বেসরকারী ভাড়া হাউজিংয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ব্যয়বহুল হিসেবে বিদ্যমান। গুনগতমান ও নিরাপত্তার অব্যাহত উদ্ভূত বিষয় সত্বেও সবধরনের টেনিউর টাইপের বেসরকারী ভাড়া সবচেয়ে ব্যয়বহুল রয়ে গেছে। গত কুড়ি বছরে ভাড়াটে পিছু গড় ফ্লোর স্পেস এক পঞ্চমাংশ হ্রাস পেয়েছে।