মর্গেজ রেইট বৃদ্ধির কারনে লন্ডন ছাড়ছেন ক্রেতারা
বাড়ির উচ্চ মর্গেজ রেইটের কারনে লন্ডনের বাসিন্দারা বিশেষভাবে প্রথমবারের মতো বাড়ির ক্রেতারা রাজধানীর বাইরে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। আর ক্রেতারা অধিক সংখ্যায় স্বল্পমূল্যের বাড়ি পছন্দ করে তাদের ঋনের খরচ কমানোর চেষ্টা করছেন। হ্যাম্পটন-এর নতুন ডাটা থেকে জানা যায়, চলতি বছর এ পর্যন্ত লন্ডনের বাসিন্দারা এম টুয়েন্টি ফাইভ এর বাইরে ৩২ হাজার ৬০০ বাড়ি ক্রয় করেছেন। এটা রাজধানীর বাইরে ৭.৭ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয়।
চলতি বছর লন্ডন ত্যাগকারী অর্থ্যাৎ লন্ডন ছেড়ে যাওয়া বাসিন্দাদের রেকর্ড ৩০ শতাংশই হচ্ছেন ফার্স্ট টাইম বায়ার বা প্রথমবারের মতো ক্রেতা। তারা তাদের সম্পত্তির পেছনে ব্যয় করেছেন গড়ে ৪ লাখ ২৯ হাজার ৮০০ পাউন্ড। এটা যারা লন্ডনে একটি বাড়ি ক্রয়ে গড়ে যতো অর্থ ব্যয় করেছেন তাদের চেয়ে ৯৬ হাজার ৫৯০ পাউন্ড কম। প্রথমবারের মতো ক্রেতাদের এই রাজধানী ত্যাগের মূল কারন হচ্ছে ক্রমবর্ধমান মর্গেজের হার। গত মাসে দুই বছর মেয়াদী মর্গেজ রেইট সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে, যা ছিলো ৬.৭ শতাংশ। এটা ২০০৮ সাল থেকে সর্বোচ্চ।
১০ হাজার লন্ডনবাসীর জন্য এই বৃদ্ধির অর্থ হচ্ছে, প্রতিবছর তাদের হাত থেকে অতিরিক্ত ১২ হাজার পাউন্ড বেরিয়ে যাচ্ছে। আর টিপিক্যাল মর্গেজ হোল্ডারদের পেমেন্ট প্রতিমাসে ২২০ পাউন্ড বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে লন্ডনের অনেক বাসিন্দার জন্য এটা অনেক বেশী অর্থ হিসেবে প্রমানিত। এর মানে হচ্ছে, যারা কম খরচের বাড়ি রয়েছে এমন এলাকায় চলে গেছেন লন্ডন ত্যাগ করে, তারা এদের ৮৫ শতাংশ। আর এর অর্থ হচ্ছে, লন্ডনের বাইরে চলে যাওয়ায় তাদের মাসিক মর্গেজ পরিশোধের পরিমানও কম। একজন টিপিক্যাল প্রথমবারের মতো ক্রেতার বার্ষিক সাশ্রয় হবে ১৫ শতাংশ অর্থ্যাৎ ৮ হাজার ৬৫৬ পাউন্ড। ইতোমধ্যে লন্ডন ত্যাগকারীরা তাদের ঋন কমাতে, এমনকি মর্গেজ পরিশোধের পরিমানও কমাতে সক্ষম হয়েছেন।
হ্যাম্পটন এর ডাটায় দেখা যায় যে, লন্ডন ত্যাগকারীরা ছোট বাড়ি কিংবা দুই বেডরুমের বাড়িও ক্রয় করেছেন, যাতে ব্যয় করছেন গত বছর সম্পত্তির জন্য ব্যয়ের চেয়ে গড়ে ৬০০০০ পাউন্ড কম। চলতি বছর ৫৩ হাজার ৭৮০ জন লন্ডনবাসী স্থায়ীভাবে লন্ডন ত্যাগ করবেন, যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে।