যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত বাড়ছে
যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক বা ত্রৈমাসিকে প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুততরভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গাড়ি প্রস্তুতকারী শিল্পের পুনরুজ্জীবন ও জুন মাসের বিস্ময়কর শক্তি সঞ্চয় দেশটির অর্থনীতির এই প্রবৃদ্ধির নেপথ্যে কাজ করছে। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের জিডিপি আগের ৩ মাসের তুলনায় ০.২ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এটা এক বছরেরও বেশী সময়ের মধ্যে সর্বোত্তম ত্রৈমাসিক পরিসংখ্যান। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স সূত্র এমন তথ্য জানিয়েছে। এই ত্রৈমাসিকে উৎপাদনে কোন প্রবৃদ্ধি হবে না বলা হয়েছিলো ইতোপূর্বে। কিন্তু ডাটাটি অর্থনীতিবিদদের বিস্মিত করেছে। এই ডাটাটিকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে এসেছে জুনের জোরালো অর্থনৈতিক কর্মকান্ড, যখন জিডিপি বৃদ্ধি পায় ০.৫ শতাংশ। অথচ মে মাসে জিডিপি হ্রাস পেয়েছিলো ০.১ শতাংশ। এর কারন এপ্রিলের ০.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পর রাজা চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠান পালনের জন্য ব্যাংকের একটি অতিরিক্ত ছুটি।
যা-ই হোক, যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ২০১৯ সালের শেষ প্রান্তিকের চেয়ে এখনো ০.২ শতাংশ ক্ষুদ্রতর। করোনা মহামারি শুরু হলে এটা রেকর্ড মন্দায় নিপতিত করে দেশটির অর্থনীতিকে। গত ১৮ মাসের জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট একটি মন্দার বাইরেও বিগত ৬৫ বছরের মধ্যে একটি দুর্বলতম সময় হয়ে আছে অর্থনীতির জন্য। রিজোলিউশন সলিউশন -এর থিংক ট্যাংক এই বলে ইংগিত প্রদান করেন যে, দেশটির অর্থনীতি জিডিপি হ্রাসের দিক দিয়ে উপর্যুপরি দুই প্রান্তিকের একটি টেকনিক্যাল মন্দা এড়াতে পারলেও অর্থনীতির জন্য এটা একটি দুর্বল সময় হয়েই আছে। ওএনএস অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানের পরিচালক ড্যারেন মরগান বলেন, অর্থনীতি মে মাসের অতিরিক্ত ব্যাংক হলিডের প্রভাব কাটিয়ে গত জুনে রেকর্ড পরিমান শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ম্যান্যুফ্যাকচারিং খাতে একটি বিশেষ জোরালো মাস হয়ে ওঠে জুন। গাড়ি ও অনিশ্চিত ধরনের ওষুধ শিল্পের পালে হাওয়া লাগে। সেবা খাতেও এই মাসটি ছিলো শক্তিশালী। গাড়ির বিক্রি ও আইন সার্ভিসও ভালো ছিলো এই মাসে। অবশ্য স্বাস্থ্যখাতে আংশিক বিপর্যয় দেখা গেছে এ সময়। এর কারন চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের পরবর্তী ধর্মঘট। জুনে নির্মান খাতে জোরালো প্রবৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়। পাব ও রেস্তোরাঁও জমে ওঠে উষ্ণ আবহাওয়ায়।