গত বছর ওয়েটিং লিস্টে থাকা ১ লাখ ২১ হাজার রোগী মারা গেছেন
লেবার পার্টির দাবি, ইংল্যান্ডে এনএইচএসে চিকিৎসার জন্য ওয়েটিং লিস্টে থাকা ১ লাখ ২১ হাজার রোগী গত বছর প্রাণ হারিয়েছেন। তথ্যের স্বাধীনতার অনুরোধের মাধ্যমে প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, রেকর্ড সংখ্যক লোক তাদের শেষ মাসগুলো ব্যথা ও কষ্টের মধ্যে অতিবাহিত করছেন, যখন তাদেরকে চিকিৎসা সেবার জন্য লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। ৩৫ টি একিউট ট্রাস্ট থেকে সংগৃহীত তথ্য অনুসারে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার ৬১১ জন।
উক্ত পরিসংখ্যান অনুসারে, শুধুমাত্র রয়াল ফ্রি এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট হসপিটালে মারা গেছেন সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশী রোগী। ইউনিভার্সিটি হসপিটালস্ অব মোরেক্যাম্বি বে এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট হাসপাতালের অপেক্ষমান তালিকায় থাকা ৩ হাজার রোগী মারা গেছেন, যাদের মধ্যে ১৬ শ’ জন ১৮ সপ্তাহের চেয়ে বেশী সময় যাবৎ অপেক্ষায় ছিলেন।
এনএইচএস এর গঠনতন্ত্র অনুসারে, রেফারেলের ১৮ সপ্তাহের মধ্যে রোগীদের চিকিৎসা শুরু করার বিধান রয়েছে। গত বছর এমনি একটি তথ্যে জানা গেছে, ২০২১ সালে চিকিৎসার জন্য অপেক্ষমান ১ লাখ ১৭ হাজার রোগী মারা যান। অবশ্য তখন দেশে করোনা মহামারির তীব্রতা বিরাজ করছিলো।
প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের পাঁচটি প্রতিশ্রুতির অন্যতম ছিলো রোগীদের ওয়েটিং লিস্ট অর্থ্যাৎ অপেক্ষমান তালিকা হ্রাস করা। কিন্তু এনএইচএস কর্তৃক প্রকাশিত ডাটা থেকে প্রতীয়মান হচ্ছে, প্রায় ৭৬ লাখ লোক জুনের শেষ দিকে চিকিৎসা শুরুর জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। এর আগের মাসে এ সংখ্যা ছিলো ৭৫ লাখ। এনএইচএস এর শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের অভিমত, বিগত মাসগুলোতে স্বাস্থ্য বিভাগে বেতন নিয়ে দীর্ঘকালীন বিরোধ ও এর ফলে ধর্মঘটে রোগীদের প্রায় ১০ হাজার অ্যাপয়ন্টমেন্ট অপারেশন ও কর্মসূচী বাতিল হয়েছে। আর এক্ষেত্রে ব্যাকলগ বা জট সৃষ্টির জন্য সরকারকে দায়ী করেন তারা।
মিঃ স্ট্রিটিং বলেন, যখন মানুষ চিকিৎসা সেবার জন্য উপস্থিত হবে, তখন তাকে তা দিতে হবে, এটাই হচ্ছে এনএইচএস এর মৌলিক প্রতিশ্রুতি। কিন্তু এটা ভেঙ্গে পড়েছে।