যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতি হঠাৎ ৬.৭ শতাংশে হ্রাস
যুক্তরাজ্যে যানবাহনের জ্বালানীর তীব্র গড় মূল্যবৃদ্ধি সত্বেও গত আগষ্টে বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার ৬.৭ শতাংশে নেমে আসে। এতে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সুদের হার বৃদ্ধি কিছুটা লাঘব হয়েছে। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স বলেছে, খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি কমে আসা বার্ষিক মূল্যস্ফীতি হ্রাসে সহায়ক হয়েছে। তাই জুলাইয়ে ভোক্তা মূল্য সূচক কর্তৃক পরিমাপকৃত মূল্যস্ফীতি নেমে আসে ৬.৮ শতাংশে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারী থেকে এ পর্যন্ত মূল্যস্ফীতির হার সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসা অনেককে বিস্মিত করেছে, যখন সিটি’র পূবার্ভাস ছিলো ৭ শতাংশ মূল্যস্ফীতি। এসময় চ্যান্সেলর জেরেমি হান্টও উচ্চতর পেট্রোল ও ডিজেলের দ্বারা বর্ধিত মূল্যস্ফীতিতে একটি পতনমুখী ধারা প্রত্যাশা করেন।
অর্থনীতিবিদরা বলেন, পরিসংখ্যানটি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডকে আগামী বৃহস্পতিবারের সুদের হারের ক্ষেত্রে বিপজ্জনক অবস্থানের ওপর পরবর্তী আহ্বান জানানোর সম্মুখীন করতে পারে। মার্কেটগুলোর পূর্বাভাস হচ্ছে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড গত কয়েক যুগের মধ্যে ঋনের মূল্যে সবচেয়ে আগ্রাসী চূড়ান্ত বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে, যা ১৫ তম বৃদ্ধি। তবে বুধবারে মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত তথ্য তাদের মধ্যে এনিয়ে কিছুটা দ্বিধা বিভক্তির জন্ম দিতে পারে। প্রশ্ন দেখা দিতে পারে, তারা ঋনের মূল্য বাড়াবে কি-না।
জুলাইয়ের তুলনায় হোটেল ও বিমানভাড়ার হ্রাস আগষ্টের মূল্যস্ফীতি হ্রাসে সহায়ক হয়, যখন খাদ্যের মূল্য গত বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক কম বৃদ্ধি পায়। বৈশ্বিক বাজারে তেলের তীব্র মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে ক্রমবর্ধমান পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি এতে আংশিক প্রভাব ফেলে। মূল্যস্ফীতির হার হ্রাসের অর্থ এই নয় যে, দাম কমছে। শুধুমাত্র এই যে, এগুলো ধীর গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যখন খাদ্য ও পানীয়র মূল্যবৃদ্ধির হার অনেক স্বস্তিকর, তখন বিভিন্ন সেবা ও পন্যের মূল্য এক বছর আগের তুলনায় গত আগষ্টে ১৩.৬ শতাংশ বেশী ছিলো।
ওএনএস বলেছে, দুধ, পনির ও ডিমের দরুন খাদ্য ও পানীয়র মূল্যস্ফীতি বিপুল ভাবে প্রভাবিত হয়, যখন জুলাই ও আগষ্টের মধ্যে তীব্র মূল্যহ্রাস হয়, তখনো তা এক বছর আগের তুলনায় বেশী ছিলো। ঐ সময় অবশ্য শাক সবজির সাথে সাথে তাজা, হিমায়িত ও ফ্রোজেন মাছ ও সীফুডের দাম কমেছিলো।