ব্যাপক শিশু মৃত্যুর কেলেংকারির পর নটিংহাম পুলিশের তদন্ত শুরু
ফজলু মিয়া: যুক্তরাজ্যের নটিংহাম ইউনিভার্সিটি হসপিটালস্ এনএইচএস ট্রাস্টে (এনইউএইচটি) প্রসূতি বিষয়ক ঘটনার উদ্বেগ সম্পর্কে একটি তদন্ত পরিচালনার প্রস্তুতি নিচ্ছে পুলিশ। চীফ কনস্টেবল কেইট মেনেল বলেন, এক দশক ব্যাপী শিশু মৃত্যু ও সেবার দুর্বল মানের বিষয়ে নটিংহাম ম্যাটারনিটি ইনক্যুয়ারীর নেতৃত্বদানকারী ডোন্না ওকেনডেনের সাথে বৈঠকের পর এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা পর্যালোচনার পাশাপাশি কাজ করতে চাই। তবে এটাও নিশ্চিত করতে চাই যে, আমরা এর অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করবো না। তবে আমি একথা বলার অবস্থায় আছি যে, আমরা একটি পুলিশী তদন্ত পরিচালনার প্রস্ততি নিচ্ছি।
যুক্তরাজ্যে এপর্যন্ত সর্ববৃহৎ প্রসূতি সংক্রান্ত কেলেংকারীর ১৮শ’ ঘটনার পরীক্ষায় অনুসন্ধান শুরুর পর এটা করা হচ্ছে। ২০২১ সালে মিডিয়ায় সর্বপ্রথম এ বিষয়ে একটি কেলেংকারির খবর প্রকাশিত হয়। পর্যালোচনার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের পরিবারগুলো পুলিশ কর্তৃক একটি তদন্ত পরিচালনার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
তারা এক বিবৃতিতে বলেন, আমাদের একটি বড়ো অংশ অপরাধের বিষয়ে অভিযোগ করেছেন এবং আমরা তদন্তে সহায়তার জন্য পুলিশের কাছে আমাদের প্রমানাদি শেয়ার করতে চাই। আমরা ধারনা করছি, চীফ কনস্টেবলের সাথে শিগগির আমাদের বৈঠক হবে এটা বুঝাতে যে, পুলিশী তদন্ত আমাদের প্রত্যেকের জন্য কিছু এটা ফল বয়ে আনবে। আমরা আশা ও বিশ্বাস করি যে, এটা শুধু ঐসব ব্যক্তিরদেরই প্রতি খেয়াল করবে না যাদের মানুষ মারা গেছেন বা যাদের শিশু ও মায়েদের মারাত্মক ক্ষতি সাধিত হয়েছে বরং এনইউএইচটি এবং এনএইচএস স্টাফগন কর্তৃক একটি সুদূরপ্রসারি কাভার-আপ অর্থ্যাৎ ধামাচাপার বিষয়ে পরিবারগুলোর অভিযোগও দেখবে।
২০১৬ সালে ট্রাস্টের এক তালিকাবদ্ধ ব্যর্থতার ফলশ্রুতিতে শিশু হারানো ব্যক্তি জ্যাক ও সারাহ হকিন্স ঐ সময় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। স্ট্রবেরি ও টেলফোর্ড হসপিটালে প্রসূতি সংক্রান্ত কেলেংকারির সাথে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনায় ওয়েস্ট মার্সি পুলিশ কর্তৃক পরিচালিত অপর একটি তদন্তের ঘটনার পর নটিংহাম পুলিশ অনুসদ্ধান চালায়।