স্থায়ী উচ্চ করের সম্মুখীন যুক্তরাজ্য
যুক্তরাজ্যে ট্যাক্সের লেভেল সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এটা রেকর্ড শুরুর পর থেকে গত ৭০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর তা কমারও কোন লক্ষন দেখা যাচ্ছে না। দেশটির শীর্ষস্থানীয় থিংক ট্যাংক ‘আইএফএস’ এমন অভিমত ব্যক্ত করেছে সম্প্রতি।
আইএফএস অর্থ্যাৎ ‘ইনস্টিটিউট অব ফিসক্যাল স্টাডিজ’ জানিয়েছে, রক্ষনশীলদের সম্মেলনের শুরুতে রক্ষণশীল দলের এমপিরা ট্যাক্স কর্তনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। সরকার বলেছে, মূল্যবৃদ্ধি ঠেকানো তার অগ্রাধিকার। সরকার আগামী বছর আরো ১০০ বিলিয়ন পাউন্ড বেশী ট্যাক্স আদায় করবে ২০১৯ সালের পূর্বের তুলনায়। থিংক ট্যাংকটির মতে, এটা করোনা ভাইরাস মহামারির ফলশ্রুতিতে নয়, যখন সরকার অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য ব্যয় বৃদ্ধি করেছিলো। বরং এজন্য দায়ী সরকারী ব্যয় বৃদ্ধি, যুক্তরাজ্যের বয়োবৃদ্ধদের সংখ্যা এবং স্বাস্থ্যসেবার ওপর চাপ।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাজ্য সরকার ১৯ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ কর্পোরেশন ট্যাক্স বৃদ্ধি সহ ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি করবৃদ্ধির পদক্ষেপ গ্রহনের কথা ঘোষনা করেছে। এছাড়া জ্বালানী কোম্পানীগুলোর মুনাফার ওপর করারোপেরও ঘোষনা দিয়েছে। আইএফএস’র পরিচালক পল জনসন বলেন, এই পার্লামেন্টে ট্যাক্স জাতীয় আয়ের প্রায় ৪ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে বলে মনে হচ্ছে, যা ১০০ বিলিয়ন পাউন্ডের মতো। তিনি আরো বলেন, যুক্তরাজ্যের ট্যাক্স বা কর এখনো ধনী দেশগুলোর গড়পড়তা সমান এবং ইউরোপের অবশিষ্ট দেশগুলোর নীচে রয়েছে। যদি ভবিষ্যতের কথা ভাবতে হয় তবে আমাদেরকে পেনশন, স্বাস্থ্য এবং বয়োবৃদ্ধ জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে অধিক ব্যয় করতে হবে। আমার মতে, এটা ট্যাক্সে নিশ্চিত ভাবেই একটি স্থায়ী বৃদ্ধি।
গত সপ্তাহে চ্যান্সেলর জেরেমি হান্ট বলেন যে, বর্তমান অবস্থায় ট্যাক্স কর্তন প্রায় অসম্ভব। জনৈক ট্রেজারি মুখপাত্র বলেন, মূল্যস্ফীতি হ্রাসের মাধ্যমে আমরা সবচেয়ে কার্যকর পন্থায় কর কর্তন করতে পারি। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস ও অন্যান্য রক্ষনশীল এমপিরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য কর কর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন।