গত ২৩ বছরে ইসরাইল ১ লাখ ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনীকে আটক করেছে
দখলদার আধিপত্যবাদী রাষ্ট্র ইসরাইল গত ২০০০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এপর্যন্ত ১ লাখ ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনীকে গ্রেফতার ও আটক করেছে। গত বুধবার ‘ডিটেইনীজ এন্ড এক্সডিটেইনীজ অ্যাফেয়ার্স কমিশন’ এ তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে শিশু, নারী ও বয়োবৃদ্ধ লোকজনসহ ফিলিস্তিনী সমাজের সকল ক্ষেত্রই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্বিতীয় (আল আকসা) ইনতিফাদা শুরুর ২৩ তম বার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে কমিশন বলেছে যে, গ্রেফতার ও আটক ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় ২১ হাজারই শিশু। এতে আরো বলা হয়েছে যে, ফিলিস্তিনী পার্লামেন্টের অর্ধেক সদস্যই আটক হয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন অনেক মন্ত্রী, কয়েকশ’ শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও কর্মী।
২ হাজার ৬শ’য়ের বেশী ফিলিস্তিনী বালিকা ও নারী আটক হয়েছেন। ৪ জন নারী কারাগারে বন্দী অবস্থায় অত্যন্ত জটিলতার মধ্যে সন্তান প্রসব করেছেন।
প্রতিবেদন অনুসারে, প্রশাসনিক আটকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন ও নবায়নকৃত আদেশসহ ৩২ হাজারেরও বেশী এরূপ আদেশের কথা বলা হয়েছে উক্ত প্রতিবেদনে। ফিলিস্তিনীদের যারা প্রশাসনিক ডিটেনশনের অধীনে আটক হচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে না আনা হচ্ছে চার্জ, না করা হচ্ছে বিচার। গোপন প্রমান ব্যবহার করা হচ্ছে, যা আটককৃতদের যেমন দেখানো হচ্ছে না, তেমনি তাদের আইনজীবিদেরও দেখতে দেয়া হচ্ছে না।
কমিশন আরো বলেছে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইসরাইলে প্রায় ৫ হাজার ২ শ’ ফিলিস্তিনী বন্দী রয়েছে। এতে ৩৮ জন নারী, প্রায় ১৭০ জন শিশু। ১ হাজার ২৫০ জনের বেশী প্রশাসনিক বন্দী এবং ৭শ’ জন বন্দী নানা ধরনের অসুস্থতায় ভুগছেন, যাদের মধ্যে ২৪ জন ক্যান্সার রোগী।