বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধে বেলজীয় মুসলমানদের মামলা দায়ের
বেলজিয়ামের মুসলিম কমিউনিটির সংগঠনগুলো দেশটির ফ্লেমিশ অঞ্চলের একটি আইনকে চ্যালেঞ্জ করেছে। ধর্মীয় ও উপাসনার স্বাধীনতা লংঘনের অভিযোগে ইউরোপীয় মানবাধিকার বিষয়ক আদালতে তারা একটি মামলা দায়ের করেছে। বেলজিয়ান রিলিজিয়াস ফাউন্ডেশন এর একটি সাম্প্রতিক বিবৃতি অনুসারে, বেলজিয়ান ইসলামিক কোঅর্ডিনেশন বোর্ড এর ছত্রছায়াধীনে দায়েরকৃত এই আবেদনে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে বেলজিয়ান মুসলিম ইউনিয়ন, দ্য বেলজিয়ান ইসলামিক ফেডারেশন এবং ফেডারেশন অব বেলজিয়ান আলবেনিয়ান মস্কস।
বিতর্কিত ফ্লেমিশ আইনটি ২০২১ সালের অক্টোবরে গ্রহন করা হয়। এতে স্থানীয় ধর্মীয় কমিউনিটিগুলোর স্বীকৃতি নিয়ন্ত্রন, ধর্মীয় কর্তৃপক্ষসমূহের বাধ্যবাধকতা ও এসব বাধ্যবাধকতার তদারকি, এবং স্বীকৃত উপাসনা বা প্রার্থনার স্থানসমূহের বাস্তব গঠন ও পরিচালনার বিষয়গুলো অর্ন্তভূক্ত। ধর্মীয় সংগঠনসমূহ সাংবিধানিক আদালতে নতুন আইনের বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপন করেছে। তাদের আপত্তি এ কারনে যৌক্তিক বিবেচিত হয়েছে যে, নতুন আইন ধর্মীয় ও উপাসনার স্বাধীনতা লংঘন করেছে।
আদালত বলেছে, এটা আইনের ৭, ৯, ১৬ এবং ১৭ নং ধারাকে নাকচ করেছে। নতুন আইনের বিধানগুলো ধর্মীয় ও উপাসনার স্বাধীনতার সাথে সাংঘর্ষিক বা বৈপরীত্বপূর্ন হিসেবে প্রতীয়মান। শীর্ষ আদালত বলেছে, নতুন আইনকে বাতিল করা হলো, যে আইন অন্য দেশের সংস্থাসমূহের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্পর্ক স্থাপনকে নিষিদ্ধ করে, অন্য দেশ থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ অর্থ সহায়তা এবং অন্য দেশ থেকে ইমামের বেতন গ্রহনে বাধা প্রদান করে।
অবশ্য মুসলিম সংস্থাগুলো এটাকে যথেষ্ট মনে করেননি এবং তারা আইনের ধারাসমূহ উল্লেখ করে বলেছে যে, এগুলো ‘আইনগত নিরাপত্তাহীনতা’ সৃষ্টি করে এই ভিত্তিতে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতে বাতিল হয়নি। এসব ধারায় এমন সব বিষয় অন্তর্ভূক্ত যে, অন্যান্য দেশের সাথে সম্পর্ক থাকার দরুন এসব সংস্থাসমূহের সদস্য হতে পারবেন না মসজিদের ইমামগন। এছাড়া ধর্মীয় কমিউনিটিসমূহের ওপর পর্যবেক্ষনের বিষয়টিও এতে অন্তর্ভূক্ত।