যুক্তরাজ্যে প্যারামেডিক সংকটে মুমূর্ষু রোগীদের জীবন বিপন্ন
ইংল্যান্ডের কিছু এলাকায় প্যারামেডিকরা জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে ৯৯৯ অ্যাম্বুলেন্স কলে সাড়া দিচ্ছেন না। প্রতি তিনটি কলের মধ্যে একটির ক্ষেত্রে এমনটি ঘটছে। সাম্প্রতিক এনএইচএস এর এক পরিসংখ্যানে এমনটি পরিলক্ষিত হয়েছে। পরিসংখ্যান থেকে এই মর্মে শংকা জাগছে যে, মারাত্মকভাবে অসুস্থ কিংবা গুরুতর আহত রোগীরা প্যারামেডিক বিষয়ে দক্ষতাবিহীন কিংবা কম দক্ষ অ্যাম্বুলেন্স স্টাফদের অপর্যাপ্ত সেবা পেতে পারেন। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা পর্যবেক্ষক সংস্থা হেলথ্ওয়াচ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে, রোগীরা একজন প্যারামেডিকের সেবা পাবার ক্ষেত্রে অনেকটা ‘পোস্ট কোড লটারী’র সম্মুখীন হতে যাচ্ছে।
এজন্য এনএইচএস- এর অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসে স্বল্পতাকে দায়ী করা হচ্ছে। লিবারেল ডেমোক্রেট দলের স্বাস্থ্য মুখপাত্র ডেইজী কুপার বলেন, যখন কেউ জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে থাকা রোগীর জন্য ৯৯৯ নম্বরে কল করে, তখন সে সম্পূর্ন যোগ্যতাসম্পন্ন একজন প্যারামেডিকের নিকট থেকে সাড়া পাবার প্রত্যাশা করে। তাই সব সময় যে এমনটি পাচ্ছেন না, তা জানতে পারলে তারা অবশ্যই হতাশ হবেন।
তিনি আরো বলেন, এটা গভীর উদ্বেগের বিষয়, এনএইচএস-এ স্টাফ সংকট এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, লোকজন এমনকি এ বিষয়েও নিশ্চিত হতে পারছেন না যে, জীবনের জন্য ঝুঁকির সময়গুলোতে একজন সম্পূর্ন প্রশিক্ষন প্রাপ্ত প্যারামেডিক আদৌ উপস্থিত হতে পারবেন কি-না। প্রয়োজন মুহূর্তে এমনটি খোঁজা বা ভাবনার অবকাশ নেই যে, যে ব্যক্তি তাকে চিকিৎসা দিচ্ছেন তিনি দক্ষতা সম্পন্ন কি-না।
ইংল্যান্ডের এনএইচএস অ্যাম্বুলেন্স ট্রাস্টসমূহ বলেছে যে, ১ নম্বর ক্যাটাগরীর কলের ক্ষেত্রে তারা প্রায়ই একজন প্যারামেডিক পাঠান বা পাঠান না। জীবনের ঝুঁকি বা সংকটে থাকা রোগীর বিষয়ে অত্যন্ত গুরুতর প্রকৃতির কলের ক্ষেত্রে, যেমন, রোগী জ্ঞান হারিয়েছেন, শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে কিংবা হার্ট অ্যাটাক হয়েছে এমন সব ক্ষেত্রে এটা ঘটছে।
ইস্ট মিডল্যান্ডস অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস বলেছে, তাদের প্যারামেডিকরা ১ লাখ ৫৫ হাজার ২৩৯টি ১নম্বর ক্যাটাগরীর কলের মধ্যে ১ লাখ ৫ হাজার ৩২৫ টিতে উপস্থিত হয়েছে অর্থ্যাৎ মোট সংখ্যার ৬৮ শতাংশ ক্ষেত্রে। অন্যান্য ধরনের প্রায় অর্ধ লাখ কলের মধ্যে মাত্র ৩২ শতাংশ ক্ষেত্রে তারা সাড়া দিয়েছে। এ সব ক্ষেত্রে প্যারামেডিকের পরিবর্তে অন্য কেউ এসেছে।