লেবার পার্টির সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে
উপ নির্বাচনে লেবার পার্টির বিপুল বিজয়
লেবার পার্টি নেতা কেইর স্টারমার শুক্রবার রুথারগ্লেন ও হ্যামিল্টন ওয়েস্ট এর উপ-নির্বাচনে জয়লাভের মধ্য দিয়ে আগামী নির্বাচনে জয়ের এক পথ খুলে দিয়েছেন। স্কটল্যান্ডের এই দু’টি আসনের নির্বাচনে লেবার পার্টি রীতিমত ভূকম্পন সৃষ্টিকারী জয় পেয়েছে বলে বিশ্লেষকদের অভিমত। লেবার পার্টি বিশ শতাংশেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টিকে। দলটির প্রার্থী মাইকেল শ্যাংকস ভোটের ৫৮ শতাংশ পেয়েছেন যা তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির কেটি লন্ডনের দ্বিগুণ। রক্ষণশীলদের ভোট তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে, তারা মাত্র তিন দশমিক ৯ শতাংশ ভোট পেয়েছে। বিব্রতকরভাবে তাদের সঞ্চয় হারিয়েছে।
রুথারগ্লেন ছিলো স্কটল্যান্ডের প্রথম আহ্বানকৃত উপ নির্বাচন। তাই এর ফলাফল অত্যন্ত সতর্কতার সাথে বিবেচনার দাবি রাখে। আগে ২০১৯ সালে মার্গারেট ফোরিয়ারের ক্ষেত্রে এটা যিনি ২০১৯ এ এই আসনে জয়লাভ করেন সংখ্যাগরিষ্ঠ ৫২৩০ টি ভোট পেয়ে। তিনি ২০২০ সালে কোভিড বিধি লঙ্ঘনের জন্য স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির হুইপকে অপসারণ করেন। ন্যাশনাল পার্টিতে পুলিশি তদন্তের মধ্যে এটা সংঘটিত হয়। এটা এখন লেবার পার্টির সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে স্কটল্যান্ডে ডজন খানেক আসন জয়ের মাধ্যমে।
প্রত্যাশা করা হচ্ছে, এটা আগামী শরৎকালে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে কেইর স্টার্মারের জয়ের সম্ভাবনা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে হাউস অব কমন্সে সামগ্রিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের বিষয়টিসহ। ফলাফলের প্রতিক্রিয়ায় লেবার পার্টির নেতা কেইর স্টারমার বলেন, এটা একটি ভূকম্পন সৃষ্টিকারী ফল।
রুথারগ্লেন ও হ্যামিল্টন ওয়েস্ট-এর জনগণ একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে, পরিবর্তন প্রয়োজন। ভোটাররা স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি ও রক্ষণশীল দলের সরকারগুলো থেকে সরে আসতে চায়, যারা শুধুই অধিকতর বিভক্তি, নৈরাজ্য ও অভ্যন্তরীন কলহের জন্ম দিয়েছে।লেবার পার্টির ছায়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বলেন অধিকাংশ জনগণ ভেবেছিলেন লেবারের ফিরে আসতে কমপক্ষে দুই মেয়াদ লেগে যাবে বাস্তবে এটাই সত্য।