ইতিহাসের সর্বোচ্চ পন্য রফতানী করেছে তুরস্ক
তুরস্ক গত সেপ্টেম্বর মাসে রেকর্ড ২২.৬৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পন্য রফতানী করেছে। গত বুধবার দেশটির বানিজ্য মন্ত্রী ওমর বোলাত এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান, তুরস্ক উপর্যুপরি গত ৩ মাস ধরে বিদেশে রেকর্ড পরিমান পন্য রফতানী করছে। বছর হিসাবে রফতানী ০.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তিনি বলেন, আমরা গত সেপ্টেম্বরে প্রজাতন্ত্রের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রফতানীতে সক্ষম হই। আগষ্ট ও জুলাইয়েও আমাদের রফতানী ছিলো সর্বোচ্চ। গত ৩ মাস যাবৎ আমাদের আমদানীতে নিম্নমুখী প্রবনতা চলছে। গত জুলাই আমদানির পরিমান ছিলো অনেক বেশী অর্থ্যাৎ ৩২.৩ বিলিয়ন ডলার। আগষ্টে এটা কমে দাঁড়ায় ৩০.৩ বিলিয়ন ডলার। আর সেপ্টেম্বরে নেমে আসে ২৭.৬৫ বিলিয়ন ডলারে।
গত ৩ মাস যাবৎ আমাদের রফতানীতে উর্ধ্বমুখী প্রবনতা অব্যাহত। এটা একটি গুরুত্বপূর্ন অর্জন। অফিশিয়াল ডাটা থেকে প্রতীয়মান হয় যে, বছরওয়ারি হিসাবে আমদানী কমেছে ১৪.১ শতাংশ, যা প্রায় ২৭.৬৬ বিলিয়ন ডলার। মন্ত্রী বোলাত বলেন, জুলাই ও সেপ্টেম্বরের মধ্যে মাসিক আমদানী হ্রাস পেয়েছে ৫ বিলিয়ন ডলার। উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে রাসায়নিক শিল্প, আসনবিহীন অটোমোটিভ খাতে সবচেয়ে বেশী রফতানী হয়েছে, যার পরিমান ২.৮৫ বিলিয়ন ডলার। এর পরের স্থানে রয়েছে যানবাহন। এই খাতে রফতানীর পরিমান ২.৮২ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া ১.৭ বিলিয়ন ডলারের রেডিমেইড গার্মেন্টও বিক্রি হয়েছে এ সময়ে।
তিনি বলেন, চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকসমূহ ও রফতানী কার্যক্রম আমাদের অর্থনীতির সহনীয়তা ও প্রতিরোধ শক্তির প্রমান।
তুর্কী রফতানীকারক গোষ্ঠীর (টিআইএম) প্রধান মোস্তফা গুলতেপ চলতি বছর তুরস্কের রফতানীর পরিমান ২৫৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে তুরস্ক ২৫৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানী করে। এর আগের বছরে রফতানীর পরিমান ছিলো ২২৫.৪ বিলিয়ন ডলার। ২০২০ সালে করোনা মহামারির দরুন রফতানী হ্রাস পায়। সেই বছর রফতানীর পরিমান ছিলো মাত্র ১৬৯.৫ বিলিয়ন ডলার।