যুক্তরাজ্যে খাদ্যপন্যের মূল্য হ্রাস
গত ২ বছরের মধ্যে এই প্রথম যুক্তরাজ্যে খাদ্য পণ্যের দাম কমেছে। এটা জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটের মধ্যে ভোক্তাদের কিছুটা স্বস্তি বয়ে এনেছে। সম্প্রতি রিটেইল ইন্ডাষ্ট্রির পরিসংখ্যানে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। ব্রিটিশ রিটেইল কনসোর্টিয়াম (বিআরসি) বলেছে, ডেইরী পন্য, মার্জারিন, মাছ ও শাকসবজির মূল্য হ্রাস এবং সুপার মার্কেটে তীব্র প্রতিযোগিতা খাদ্যপন্যের গড়মূল্য হ্রাসে সহায়তা করেছে। এটা বিগত মাসসমূহের তুলনায় ০.১ শতাংশ হ্রাস। এই দরপতন ২০২১ সালের জুলাই থেকে প্রথম মাসিক পতন। তবে অনেক কিচেন পন্যের দাম অব্যাহতভাবে বাড়তে দেখা যাচ্ছে, যখন সামগ্রিকভাবে খাদ্যপন্যের দাম এখনো এক বছর আগের তুলনায় ৯.৯ শতাংশ বেশী।
বিবিসি বলেছে,গত মাসে খাদ্যপন্যের মূল্যহ্রাস সামগ্রিক পন্য সামগ্রীর দাম আগষ্টের ৬.৯ শতাংশ থেকে সেপ্টেম্বরে ৬.২ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। এটা ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বার্ষিক সর্বনিম্ন মূল্য হার। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স (ওএনএস) অনুসারে, যুক্তরাজ্যের বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার জুলাইয়ের ৬.৮ থেকে আগষ্টে ৬.৭ শতাংশে হ্রাস পায়।
ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং চ্যান্সেলর জেরেমি হান্ট পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে আরেক দফা মূল্যস্ফীতির আশংকা করছেন। অফিশিয়াল পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, গত মার্চে খাদ্য ও মদ্য নয় এমন পানীয়র দাম ১৯.১ শতাংশে উন্নীত হয়, যা ১৯৭৭ সালের পর এ পর্যন্ত সবচেয়ে দ্রুত মূল্যবৃদ্ধি। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তা হ্রাস পায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহনের ফলে। তবে আগষ্টে তা ঐতিহাসিক উচ্চতায় ১৩.৬ শতাংশে থেকে যায়। খাদ্যপন্যের দাম তখনো উঁচু পর্যায়ে থাকে।
বিআরসি’র প্রধান নির্বাহী হেলেন ডিকিনসন বলেন, খুচরো বিক্রেতারা বছরের অবশিষ্ট সময়ব্যাপী পন্য সামগ্রীর মূল্যস্ফীতির অব্যাহত হারে হ্রাস দেখার প্রত্যাশা করে। তারা তাদের গ্রাহকদের সর্বাত্মক সহায়তা দানে আগ্রহী এবং মূল্য কমানোর পক্ষে, বিশেষভাবে যখন গৃহস্থালীগুলো উচ্চ জ্বালানী ব্যয় ও মর্গেজ বিল নিয়ে বিপর্যস্ত।