ব্রিটেনে ফিলিস্তিনী পতাকা নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি
যুক্তরাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধে ১০ টি সংগঠন এই মর্মে সতর্কবানী উচ্চারন করেছে যে, যদি সরকার লোকজন কর্তৃক ফিলিস্তিনী পতাকা বহন নিষিদ্ধের চেষ্টা করে, তবে এর বিরুদ্ধে আইনী লড়াইয়ে নামবে তারা। তাদের বক্তব্য হচ্ছে ফিলিস্তিনী পতাকা বহন অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনী জনগনের প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক প্রতীক হয়ে ওঠেছে। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে ডানপন্থী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েল্লা ব্রেভারম্যান পুলিশ প্রধানকে ফিলিস্তিনী পতাকা প্রদর্শন ও ফিলিস্তিনীদের সমর্থনে ব্রিটেনের রাস্তায় শ্লোগান দেয়ার বিষয়ে সতর্ক করে দেন। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের চীফ কনস্টেবলের কাছে লিখিত এক চিঠিতে তিনি এই বলে পরামর্শ দেন যে, পতাকা উঁচিয়ে নাড়ানো বৈধ না-ও হতে পারে, যদি এটাকে সন্ত্রাসের পক্ষে সমর্থন প্রদর্শন করা হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হয়।
কিন্তু সিভিল সোসাইটি সংগঠনসমূহ এর প্রতিবাদে লেখা এক চিঠিতে বলেছে যে, ফিলিস্তিনী পতাকাকে সন্ত্রাসের সাথে মিলিয়ে দেখা ফিলিস্তিনীদের সংগ্রামকে অবৈধতা প্রদানের লজ্জাহীন প্রচেষ্টা। তারা আরো বলেন, ফিলিস্তিনী পতাকা একটি নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী পতাকা নয় এবং বিক্ষোভকালে এই পতাকা প্রদর্শনে নিষেধ করা কিংবা বিক্ষোভ বন্ধ করার যে কোন সরকারী সিদ্ধান্তকে আইনানুগভাবে চ্যালেঞ্জ করা হবে। এজন্য আদালত কর্তৃক বিচারিক রিভিউয়ের জন্য একটি ‘নোটিশ অব ইনটেন্ট’ ইস্যু এবং সরকারের এমন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আবেদন জানানো হবে। এক সংবাদে জানা গেছে, সম্প্রতি মানচেষ্টারে ফিলিস্তিনী পতাকা গায়ে জড়ানোর জন্য জনৈক তরুনকে পাবলিক অর্ডার অফেন্স এর দায়ে গ্রেফতার করা হয়।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সাবধান বানীটি এসেছে সম্প্রতি গাজায় ইসরাইলী দখল ও বর্বর হামলার অবসানের দাবিতে ব্রিটেনের রাস্তায় আগামী সপ্তাহান্তে সম্ভাব্য লক্ষ মানুষের বিক্ষোভ সমাবেশের আগে। সংগঠন সমূহের এই চিঠিতে অধিকৃত ফিলিস্তিনে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ এবং গাজার সীমান্ত মানবিক সাহায্যের জন্য খুলে দেয়ার জাতিসংঘের দাবির প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করা হয়।
এছাড়া চিঠিতে ইহুদীবাদীদের সহায়তায় ইসরাইলী সরকারকে সম্ভাব্য যুদ্ধ শুরুর ব্যাপারে যুক্তরাজ্য সরকারের অন্যায় সহায়তার অভিযোগ আনে সংগঠনসমূহ।
এখানে ক্লিক করে পুরো চিঠি পড়া যাবে