এই প্রথম মূল্যস্ফীতির চেয়ে মজুরীর পরিমান বৃদ্ধি পেলো
হাসনাত চৌধুরী: গত ২ বছরের মধ্যে এই প্রথম গড় মজুরী মূল্যস্ফীতির চেয়ে বেশী। এটা জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট হ্রাসের একটি লক্ষন। এমন পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়েছে অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্স-এর সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে। পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত জুন ও আগষ্টের মধ্যে মজুরীর বার্ষিক বৃদ্ধি ছিলো ৭.৮ শতাংশ। এটা ঐ সময়ে গড় মূল্যস্ফীতির চেয়ে বেশী। যা-ই হোক, মজুরীর এই বৃদ্ধি গড়পড়তা এবং এর অর্থ এই নয় যে, সকলের জন্য জীবনযাত্রার ব্যয়ের চাপ কমছে। সরকারী খাতের শ্রমিক কর্মীদের মজুরী বৃদ্ধি উক্ত তিনমাসে ছিলো ৬.৮ শতাংশ। এটা ২০০১ সালে ওএনএস এর রেকর্ড শুরুর পর থেকে সবচেয়ে বড়ো বৃদ্ধি। এসময়ে প্রাইভেট খাতের শ্রমিক কর্মীদের গড় মজুরী বৃদ্ধি ছিলো ৮ শতাংশ।
ফাইন্যান্স ও ব্যবসা খাতের কর্মচারীদের বার্ষিক মজুরী বৃদ্ধি হয়েছে সবচেয়ে বেশী। এর পরের অবস্থানে ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন খাত। মূল্যস্ফীতির হার হ্রাস পাচ্ছে। তবে গত আগষ্ট পর্যন্ত বছরে এটা ছিলো ৬.৭ শতাংশ। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এর ২ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এটা তিনগুনেরও বেশী।
ব্রিটিশ চ্যান্সেলর জেরেমি হান্ট বলেন, এটা সুসংবাদ যে মূল্যস্ফীতি হ্রাস পাচ্ছে এবং প্রকৃত মজুরী বাড়ছে। ফলে লোকজনের পকেটে অনেক টাকা রয়েছে।
এদিকে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড মূল্যস্ফীতি কমানোর লক্ষ্যে সুদের হার বৃদ্ধি করছে। যা-ই হোক, ব্যাংকটি গত মাসে ঋনের ব্যয় রেখেছে ৫.২৫ শতাংশ এবং সর্বশেষ মজুরী বৃদ্ধির পরিসংখ্যান অনুসারে ক্যাপিটাল ইকোনোমিক্স এর বিশ্লেষকদের বিশ্বাস, এখনকার মতো রেইট আর বৃদ্ধি পাবে না। গবেষনা প্রতিষ্ঠানের ইউকে ইকোনোমিস্ট অ্যাশলে ওয়েব বলেন, আগষ্টে মজুরী বৃদ্ধিতে স্বস্তি নিয়ে আসে লেবার মার্কেটের সুষ্ঠু পরিস্থিতি। সেটা আমাদের এই ধারনাকে সমর্থন করে যে, সুদের হার চূড়ান্ত ৫.২৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। অবশ্য যেহেতু আমাদের সন্দেহ মজুরী বৃদ্ধি শুধুমাত্র ধীরগতিতে হ্রাস পাবে, সুদের হার সম্ভবত: ২০২৪ সাল পর্যন্ত তাদের শীর্ষ পর্যায়ে থেকে যাবে। চাকুরীর শূণ্য পদের সংখ্যা অব্যাহতভাবে হ্রাস পাবে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জব ভ্যাকেন্সী বা চাকুরীর শূন্যপদের সংখ্যা ৯৮৮০০০ থেকে ৪৩০০০ নেমে আসে।