যুক্তরাজ্যে অভিবাসীর সংখ্যা হ্রাস পাবে
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিক্সের একাডেমিক বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষন অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যে নীট মাইগ্রেশন তাৎপর্যপূর্ন সংখ্যায় হ্রাস পাবে আগামী বছরগুলোতে। তবে তা ব্রেক্সিটপূর্ব প্রায় ৩ হাজারের মধ্যে থেকে যাবে। ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত নীট মাইগ্রেশন ছিলো রেকর্ড সংখ্যক ৬ লাখ ৬ হাজার। এর আগের বছর অর্থ্যাৎ ২০২১ সালের চেয়ে ২৪ শতাংশ বেশী। এ অবস্থায় ঋষি সুনাক এই সংখ্যাকে খুব বেশী বলে মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সহজ কথায় এটা অত্যন্ত বেশী এবং আমি চাই এটাকে নামিয়ে আনতে। বিশ্লেষকদের মতে, মাইগ্রেশন অর্থ্যাৎ অভিবাসন বৃদ্ধির জন্য অনেকগুলো বিষয় দায়ী। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, বিশেষ ভিসা স্কীমে ইউক্রেইন ও হংকং থেকে শরনার্থীদের আগমন এবং এর সাথে স্টুডেন্ট ও ওয়ার্ক ভিসায় আগমন দ্রুত বৃদ্ধি।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইগ্রেশন অবজারভেটরী এবং লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিক্স এর সেন্টার ফর ইকোনোমিক পারফরমেন্স এর বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী বছরগুলোতে সরকারী নীতিমালা নির্বিশেষে এসব কারনের কিছু হ্রাস পাবে, যখন অনেক শিক্ষার্থী দুই বা তিন বছর পর দেশে ফিরে যাবে। একই সঙ্গে সম্প্রতি আগতদের অনেকে ফিরে যাবে।
বিভিন্ন অভিবাসী গ্রুপের টিপিক্যাল স্টে রেইট অর্থ্যাৎ অবস্থানের হার পরীক্ষা করে বিশ্লেষন প্রতিবেদনে এই মর্মে পূর্বাভাস প্রদান করা হয়েছে যে, যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী অভিবাসীদের সংখ্যা তাৎপর্য সংখ্যক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। উচ্চ সংখ্যক অভিবাসন স্থায়ী বসতি স্থাপনকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি করে। যদিও এটা হতে কিছু সময় লাগে। বলা যায় দুই বা তিন বছর। এসব স্টে রেইট অর্থ্যাৎ অবস্থানের হার এবং ইউক্রেইন ও হংকং থেকে আগতসহ অন্যান্য কারনসমূহের ভিত্তিতে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, নীট মাইগ্রেশন ২০৩০ সাল নাগাদ আড়াই লাখ থেকে সাড়ে তিন লাখ হ্রাস পেতে পারে।
উল্লেখ্য, ইতোপূর্বে রক্ষনশীল দলের নেতা ডেভিড ক্যামেরন বার বার প্রতিশ্রুতি সত্বেও নীট মাইগ্রেশন দশ হাজারে নামিয়ে আনতে পারেননি। ২০১৯ সালে বরিস জনসনও এমন প্রতিশ্রুতি দিতে সাহস করেননি। কিংবা বর্তমান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে অভিবাসীদের যুক্তরাজ্যে আসা বন্ধের প্রতিশ্রুতি দেন।