গাজা শরণার্থীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত স্কটল্যান্ড

ফজলু মিয়া: স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার হামজা ইউসুফ বলেছেন, তার দেশ গাজা থেকে আগত শরনার্থীদের স্বাগত জানাতে এবং আহতদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রস্তুত। তিনি আরো বলেন, ব্রিটিশ সরকারের উচিত অবরুদ্ধ গাজা ছিটমহলে ইসরাইলী গনহত্যা থেকে পালিয়ে আসা বেসামরিক লোকজনকে পুনর্বাসনের জন্য একটি স্কীম অনুমোদন।
ইউসুফ বলেন, অতীতে স্কটল্যান্ডসহ গোটা যুক্তরাজ্যের জনগন সিরিয়া, ইউক্রেইন ও অন্যান্য দেশ থেকে আগতদের স্বাগত জানাতে হৃদয় ও বাড়িঘর উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এটা আমাদের আবার করতে হবে। তিনি বলেন, গাজায় সম্প্রতি ১০ লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অতএব আমি আজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে গাজার লোকজনের জন্য বিশ্বব্যাপী একটি শরনার্থী কর্মসূচী গ্রহনে প্রতিশ্রুতি প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার হামরা ইউসুফের পরিবারের ঘনিষ্ট আত্মীয়-স্বজন গাজায় অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন। তিনি বলেন, ব্রিটিশ সরকারের উচিত গাজার ঐসব লোকজনের জন্য একটি শরনার্থী পুনর্বাসন স্কীম গ্রহন, যারা চায় এবং স্থানটি ত্যাগ করতে ইচ্ছুক এবং সম্প্রতি ইসরাইলী বিমান হামলায় আহতদের সহায়তায় মেডিকেল স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা।
সম্প্রতি গাজার একটি হাসপাতালে লক্ষ্যকৃত ইসরাইলী বিমান হামলায় কয়েকশ’ লোক মর্মান্তিকভাবে প্রান হারিয়েছেন, যা গোটা অঞ্চলে তীব্র সমালোচনা ও ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। তিনি জানান, তার মা গাজা থেকে তাকে ফোন করে বলেছেন, পরিস্থিতি আসলেই অত্যন্ত নাজুক ও হতাশাব্যঞ্জক। ২ বছর বয়সী তার এক কাজিনের দেহে অনেকগুলো ক্ষুদ্র বোমার টুকরো প্রবেশ করেছে।
ইউসুফের বক্তব্য প্রদানের ঘন্টা খানেক আগে তার ফিলিস্তিনী স্ত্রী নাদিয়া আল নাখলা এবং ডান্ডি সিটি কাউন্সিলের এসএনপি কাউন্সিলর জানান, গাজায় তার পরিবারের ৩ সদস্য, যারা তার কাজিন, ইসরাইলী ড্রোন হামলায় আহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনীদের অভ্যন্তরেও প্রতিবেশী দেশসমূহে অবস্থানরত অনেকে গাজাবাসীদের আবারো শরনার্থী হয়ে পড়ার আশংকা ব্যক্ত করেছেন। তারা এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা ১৯৪৮ সালের ফিলিস্তিনী জনগনের নাকবা অর্থ্যাৎ গণবাস্তুচ্যুতির কথা এক্ষেত্রে স্মরন করেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button