লেবার পার্টিতে মুসলিম ভোটের বিপর্যয়কর পতন
এমইএনডি এবং মুসলিম সেনসাস- এর এক যৌথ জরিপে দেখা গেছে লেবার পার্টিতে মুসলিম ভোট ৭১ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নেমে এসেছে। যদি আগামীকাল একটি ভোট অনুষ্ঠিত হয় তবে লেবার পার্টি আগের চেয়ে ৬৬ শতাংশ ভোট কম পাবে। আর রক্ষণশীল দলে মুসলিম ভোট ৯ শতাংশ থেকে ০.৬ শতাংশে নেমে এসেছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে ইজরাইল ও ফিলিস্তিন ইস্যু।
গত কয়েক সপ্তাহ যাবত প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ও লেবার নেতা কেইর স্টার্মার একই সঙ্গে উভয় দলের প্রথম সারির দায়িত্বশীল নেতাদের ইজরাইলের প্রতি সমর্থন সুস্পষ্টভাবে প্রকাশিত।
মুসলিম সেনসাস বলেছে, যুক্তরাজ্য জুড়ে মুসলিমরা ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামের প্রতি তাদের এই স্পষ্ট অশ্রদ্ধার ব্যাপারে সতর্ক। তাদের এই জরিপ থেকে এটাই প্রতীয়মান যে, প্রায় সকল অর্থাৎ ৯৮ শতাংশ মুসলিমের নেতিবাচক ধারণা লেবার ও রক্ষণশীল দলের ফিলিস্তিনিদের প্রতি এ ধরনের প্রতিক্রিয়ায়।
জরিপে অংশ নেয়া ৩০ হাজার মুসলিমের অধিকাংশই বলেছেন যে, তাদের ভোট ভোটদানে বিরত থাকা, স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা গ্রীণ পার্টি- এগুলোর যে কোন একটিতে চলে যাবে।
মুসলিম সেনসাস বলেছে, ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের ঘটনাবলীর পর যেখানে উভয়পক্ষের নিরীহ লোকজন প্রাণ হারিয়েছে তার প্রতি উভয় প্রদান দলের প্রতিক্রিয়া ব্রিটিশ জনগণ লক্ষ্য করেছে। দেশের সকল স্তরের জনগণ লক্ষ্য করেছে লেইস্টারের লেবার পার্টির মেয়র স্যার পিটার সৌলসবি কিভাবে ফিলিস্তিনিদের দুঃখ দুর্দশার ব্যাপারে সহানুভূতির ঘাটতি প্রদর্শন করেছেন।
আমাদের রাজনৈতিক নেতারা একটি অব্যাহত ও অমীমাংসিত বার্তা শেয়ার করেছেন যা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক আইনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইসরাইল রাষ্ট্রের দায়মুক্তিহীন আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে।
সম্প্রতি লেবার নেতা কেইর স্টার্মার এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইজরাইলের গাজায় পানি ও বিদ্যুতের সরবরাহ ও সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ ও সাহায্য প্রেরণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অধিকার রয়েছে।