১০০ বছর পর সূর্যালোক পাবে নরওয়ের শহরতলি…
যদি সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চলে, তবে নরওয়ের শিল্প এলাকা রাজুকান শহরতলির বাসিন্দারা শীতকালে প্রথমবারের মতো সূর্যের আলোর মুখ দেখবেন। এ বছরের সেপ্টেম্বর থেকেই সূর্যালোক পৌঁছবে সেখানে। নরওয়ের পার্বত্য অঞ্চলে একটি সরু উপত্যকার নিচে গড়ে উঠেছে এ জনবসতি। শীতকালে গত ১০০ বছরেরও বেশি সময়ে সূর্যালোক পৌঁছায়নি সেখানে। পাহাড়ের যে অংশে সূর্যালোক পৌঁছায় সেখানে তিনটি বিশাল দর্পণ বা আয়না বসানো হয়েছে। ৪৫০ মিটার উঁচুতে বসানো এ কাঁচগুলোতে সূর্যালোক পড়ে তা প্রতিফলিত হবে আর আলোকিত করবে টাউন হল স্কয়ারটিকে। এ বছরের ১লা জুলাই আয়নাগুলো স্থাপনের কাজ শুরু হয় ও এরই মধ্যে সে কাজ শেষ হয়েছে। গত সোমবার ৫০ লাখ ডলারের এ প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও কর্মীরা শেষ মুহূর্তের কাজ করছিলেন। টিন পৌরসভার একটি অংশ রাজুকান শহরতলি। সাধারণভাবে শীতকালে সূর্যালোক পেতে এতোদিন এ অঞ্চলের বাসিন্দারা নির্ভর করছিলেন পাহাড়ের চূড়ার কেবল কারগুলোর ওপর। যদিও এ প্রকল্প আরও সম্প্রসারিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে, আপাতত এ কেবল কারগুলোর কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে না। অবশ্য, অভিনব পন্থায় সূর্যালোক পাওয়ার এ ধারণাটি বহু আগেই মাথায় এসেছিল। ১৯০৭ সালে শহরতলিটি যখন গড়ে তুলছিলেন, তখনই স্যাম আইডের মাথায় শীতকালে সূর্যালোক পাওয়ার এ আইডিয়াটি আসে। কিন্তু সে সময় প্রযুক্তির এতোদূর উৎকর্ষ হয়নি। আর সে উদ্দেশ্যটি সফল করতে কেবল কার নির্মাণ করা হয়েছিল। দীর্ঘ ৫ বছর বিতর্কের পর কর্তৃপক্ষ ৫০ লাখ ডলারের এ প্রকল্পে হাত দেয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়।