যুক্তরাজ্যের জনগণ মহামারিপূর্ব সময়ের চেয়ে কম সুখী
অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স (ওএনএস) অনুসারে, সামগ্রিক দিক দিয়ে যুক্তরাজ্যের জনগন মহামারিপূর্ব সময়ের চেয়ে কম সন্তুষ্ট ও সুখী, যদিও এখন মহামারি নেই। গত বছর জনগনের জীবনযাপনে সন্তুষ্টি ও সুখ-শান্তির পরিমাপ করতে গিয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। মূল্যায়নে গ্রেট ব্রিটেনে ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের জনগনের মাঝে উদ্বেগ বৃদ্ধির বিষয়টি লক্ষ্য করা গেছে।
সংস্থা অনুসারে, ইংল্যান্ডে ২০২১ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের মার্চের মধ্যে কল্যান ও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে। মূল্যায়ন অনুসারে, স্কটল্যান্ডের বাসিন্দাদের মাঝে সুখের মাত্রা সবচেয়ে উর্দ্ধে লক্ষ্য করা গেছে। অপর দিকে আউটার হেব্রাইডসের লোকজনের মার্ঝে সুখ ও সন্তুষ্টির অবস্থা দ্বিতীয় স্থানে, যদিও খুব অল্প জনসংখ্যার এলাকার ফলাফল দিয়ে বড়ো বড়ো শহর ও নগরীর মানুষের সুখ সাচ্ছন্দ্য কিংবা উদ্বেগ যাচাই করা সম্ভব নয়।
দেখা গেছে, স্কটল্যান্ডের মূল ভূখন্ডের উত্তর-পশ্চিম উপকূল থেকে একটি ফেরী-হপ দূরত্বে অবস্থিত আইল্যান্ড চেইন যেনো এক টুকরো স্বর্গ। এর সফেদ সৈকত ও বনাঞ্চল স্থানটিকে অপরূপ শোভা ও সুখশান্তি দিয়েছে। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে এই স্থানটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সুখী এলাকা। আর সবচেয়ে সুখী মানুষের বসবাস শেটল্যান্ড আইল্যান্ডসে। অর্কনি, ফারো আইল্যান্ডস ও নরওয়ের মধ্যে অবস্থিত উদ্দাম জীবনযাত্রার এই দ্বীপপুঞ্জ। সামগ্রিকভাবে বার্ষিক ব্যক্তিগত ভালো থাকার পরিসংখ্যানে প্রতীয়মান হয় যে, সকল বিচারেই ইংল্যান্ডে সুখশান্তি ও স্বস্তি তাৎপর্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। প্রায় ২৭ শতাংশ নারীর ক্ষেত্রে উদ্বেগ বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হচ্ছে। আর প্রতি ৫ জনে ১ জন পুরুষের উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০১৬ সালে উদ্বিগ্ন নারীদের সংখ্যা ছিলো ২২ শতাংশ। ওএনএস বলেছে, লোকজনের নিকট থেকে যে অনুপাতে জীবনযাপনের দুর্বল মানের খবর পাওয়া যাচ্ছে, এতে স্পষ্টই বুঝা যাচ্ছে যে, জনগন মহামারিপূর্ব সময়ের চেয়ে ভালো নেই। অর্থ্যাৎ ঐ সময়ের চেয়ে অবস্থা এখন খারাপ হয়েছে।