ইসরাইলের প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে ৬শ’ আইরিশ শিক্ষাবিদের আহ্বান
আয়ারল্যান্ডের ৬০০ শিক্ষাবিদ এক যৌথ বিবৃতিতে ইসরাইলের প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন। গাজায় দখলদার ইসরাইলিদের বর্বরতা অতীতের সকল নৃশংসতাকে ছাড়িয়ে যাওয়ায় তারা এই আহ্বান জানিয়েছেন। গত শনিবার ‘আইরিশ টাইমস’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তারা গাজায় ইসরাইলি হামলাকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ আখ্যায়িত করে এর নিন্দা জানান। তারা এই ইসরাইলি হামলাকে ‘গণহত্যার সহিংসতা’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অনেক আইরিশ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইইউ অর্থায়নকৃত রিসার্চ প্রকল্পের ইসরাইলি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের সাথে সক্রিয় সহযোগিতা বিদ্যমান। এতে বলা হয়, আমরা আয়ারল্যান্ডের সকল বিশ্ববিদ্যালয়কে ইসরাইলি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সাথে বিদ্যমান সব ধরনের পার্টনারশিপ ও সংযুক্তি অবিলম্বে ছিন্ন করার আহ্বান জানাচ্ছি।
এতে আরো বলা হয়, ফিলিস্তিনি ভূখন্ডে ইসরাইলি দখলদারিত্বের অবসান না হওয়া পর্যন্ত এই সম্পর্ক স্থগিত থাকবে। এছাড়া ফিলিস্তিনিদের সমতার অধিকার যতদিন না প্রতিষ্ঠিত হবে এবং ফিলিস্তিনি শরণার্থীরা যতদিন না নিজেদের ভূখণ্ডে ফিরবে ততদিন এই সম্পর্ক স্থগিত থাকবে।
চিঠি বা বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ফিলিস্তিনী গ্রুপগুলোর হামলায় বেসামরিক লোকদের উপর ৭ অক্টোবরে অপরাধমূলক হামলা অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু কোন পরিস্থিতিতেই অবরুদ্ধ অঞ্চলে বেসামরিক জনগণের উপয পদ্ধতিগত বোমা বর্ষণ ও সামগ্রিক শাস্তি দানকে অনুমোদন দেয় না আন্তর্জাতিক আইন।
এতে আরো বলা হয়, পরিকল্পিত অবরোধের কারণে অনেক ফিলিস্তিনি জ্বালানি, পানি, বিদ্যুৎ ও মেডিকেল সরবরাহের অভাবে মারা যাচ্ছে। গাজার হাসপাতালগুলো চিকিৎসা সেবা দিতে সক্ষম হচ্ছে না। এগুলোতে ভেন্টিলেটরের জন্য বিদ্যুৎ নেই, অ্যান্টিসেপটিকের অভাবে ভিনেগারকে ব্যবহার করা হচ্ছে। অ্যানেসথেশিয়া ছাড়াই করা হচ্ছে অপারেশন। তার উপর অব্যাহতভাবে করা হচ্ছে বোমাবর্ষণ। হলোকাস্ট ও গণহত্যা বিষয়ক নেতৃস্থানীয় ইহুদি ও ইসরাইলি বিশেষজ্ঞ ও স্কলাররা গাজায় যা হচ্ছে তাকে একটি ‘টেক্সট বুক কেস অব জেনোসাইড’ বলে অভিহিত করেছেন। তাদের মতে,গাজায় যা হচ্ছে তা গণহত্যা। এতে বলা হয়, গাজার বর্বরতা ইসরাইলিদের ৭৫ বছরের ঔপনিবেশিকতা ও অবৈধ দখলদারিত্বে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।