জিপি-দন্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে এক দশকে অভিযোগ দ্বিগুণ
সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, গত এক দশকে লন্ডনে জিপি ও দন্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দ্বিগুনেরও বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাহিদার সাথে খাপ খাওয়াতে হিমশিম খাচ্ছে সার্জারি অর্থাৎ শল্য চিকিৎসা। হ্রাস পেয়েছে স্টাফ সংখ্যা। চলতি সনের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৬ হাজার ৫৫৫টি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় প্রাথমিক সেবা ও দন্ত চিকিৎসা সেবা সম্পর্কে। এটা ২০১৩ সালের পরিসংখ্যানের চেয়ে শতাংশ বেশি।
এনএইচএস কর্তৃক প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজধানীর যে কোনো অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে নর্থ ওয়েস্ট লন্ডনে।
জাতীয়ভাবে ২০২২-২৩ সালে জিপি ও দন্ত চিকিৎসকসহ প্রাইমারি সেবা সম্পর্কে মোট ১ লাখ ২৫ হাজার ৫৮৪ টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ১০ বছর আগের তুলনায় এটা ১৩৮ শতাংশ বেশি । অভিযোগের এক পঞ্চমাংশই জিপির অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে বিলম্ব সংক্রান্ত।
এনএইচএস ডিজিটাল কর্তৃক প্রকাশিত আলাদা পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, লন্ডনে পূর্ণ সময় কর্মরত জিপি’র সংখ্যা এক বছরে ৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। গত মাসে রাজধানীতে স্বাস্থ্য সেবায় কর্মরত যোগ্য স্থায়ী পারিবারিক চিকিৎসকের সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৯১ জন। এর আগের বছরের তুলনায় এটা ১৩৪ জন কম।
একই সময়ে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ১.৭ শতাংশ। গত মাসে এনএইচএস লন্ডন অঞ্চলে মোট ১ কোটি ৯ লাখ ১৯ হাজার ২৪ জন রোগী সার্জারির জন্য রেজিস্ট্রেশন করেন।
লন্ডন সার্জারি গড়ে ৯ হাজার ৯১৩ জন রোগীকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। এটা এর আগের বছরের চেয়ে ৩১৭ জন বেশি।
পরিসংখ্যান থেকে প্রতিীয়মান হয় যে, স্টাফ সংখ্যা হ্রাস পাওয়ার দরুন জিপিদের কাজের চাপ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শীত মৌসুমে সার্জারির উপর অধিক চাপ পড়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান।
রাজধানীতে পারিবারিক চিকিৎসকরা সেপ্টেম্বর জুড়ে প্রায় পঞ্চাশ লাখ অ্যাপয়েন্টমেন্ট সরবরাহ করেছেন। এক চতুর্থাংশেরও বেশি রোগীকে একটি এপয়েন্টমেন্ট এর জন্য একপক্ষ কালেরও বেশি অপেক্ষা করতে হয়েছে।
রয়্যাল কলেজ অফ জিপিজ এর চেয়ারম্যান অব জিপিজ এর চেয়ারম্যান ক্যামিলা হোর্থন পরিসংখ্যান সম্পর্কে বলেন এটা শুনতে দুঃখজনক ও কষ্টদায়ক।