হ্যাকারদের কবলে ব্রিটিশ লাইব্রেরী, ৬ লাখ পাউন্ড পণ দাবি
হ্যাকারদের সাইবার হামলার শিকার হয়ে ব্রিটিশ লাইব্রেরীর কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। গত ক’সপ্তাহ ধরে বিরাজ করছে এই স্থবিরতা। সাইবার হামলাকারী হ্যাকারদের এই গ্রুপ হচ্ছে র্যানসামওয়্যার রাইসিদা গ্রুপ। তারা চুরিকৃত ডাটা ফেরত দেয়ার বিনিময়ে ২০ বিটকয়েন অর্থ্যাৎ প্রায় ৬ লাখ ২ হাজার ৫ শ’ পাউন্ড পণমূল্য দাবি করেছে। এই ডাটাগুলোর মধ্যে কর্মচারীদের পাসপোর্ট স্ক্যানসহ আর্থিক তথ্যাবলী রয়েছে। গ্রুপটি এসব ডাটা বা উপাত্ত নিলামে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে বা যারা সর্বোচ্চ মূল্য দেবেন তাদেরকে এগুলো প্রদান করবে বলে গ্রুপটি জানিয়েছে। হ্যাকাররা ফাইলসমূহ এনক্রিপটিংয়ের দ্বারা ব্রিটিশ লাইব্রেরীকে তার আইটি সিস্টেমে প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। তারা এই পনমূল্যের বিনিময়ে একটি ব্যতিক্রমী ডিক্রিপশন কী প্রদানের প্রস্তাব করেছে।
হ্যাকাররা লাইব্রেরীরর ডাটা চুরির পর এই মর্মে ঘোষনা করেছে: ‘৭ দিনের মধ্যে ব্যতিক্রমধর্মী, অতুলনীয় ও আকর্ষনীয় নিলাম ডাকের সুযোগ গ্রহন করুন। আপনার টাকার ব্যাগ খুলুন এবং প্রস্তুত হোন অতুলনীয় ডাটা ক্রয়ের জন্য’।
লক্ষনীয় যে, ব্রিটিশ লাইব্রেরীতে ১৭০ মিলিয়ন অর্থ্যাৎ ১৭ কোটি আইটেম রয়েছে। লাইব্রেরীতে প্রধান প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহের মধ্যে রয়েছে ঐতিহাসিক ‘ম্যাগনাকার্টা,’ যা ইউরোপের ইতিহাসে প্রথম লিখিত সংবিধান। এছাড়া রয়েছে ‘দ্য বিটলস্’ গ্রুপের হাতে লেখা সংগীত।
গত মাসে ব্রিটিশ লাইব্রেরী এই মর্মে নিশ্চিত করে, ‘একটি বড়ো ধরনের প্রযুক্তিগত বিভ্রাট আমাদের কার্যক্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।’ হামলার ফলে লাইব্রেরীর ওয়েবসাইট, অনলাইন সিস্টেম এবং বইয়ের অর্ডার দেয়ার পদ্ধতি ভেঙ্গে পড়ে। গত ২০ নভেম্বর ব্রিটিশ লাইব্রেরী এক্স / টুইটারে একটি হালনাগাদ বার্তা ইস্যু করে। এতে বলা হয়: ‘সাইবার হামলার ফলে আমরা অব্যাহতভাবে বড়ো ধরেন প্রযুক্তিগত বিভ্রাটের শিকার, যা আমাদের ওয়েবসাইট, অনলাইন সিস্টেম, কিছু অনসাইট সার্ভিসসহ সার্ভিসসমূহ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে’।
বাইসিদা র্যানসমওয়্যার হ্যাকারগ্রুপ অর্থের জন্য এধরনের সাইবার অপরাধ করে থাকে। খুবই সক্রিয় ও আগ্রাসী হিসেবে তাদের কুখ্যাতি রয়েছে।
ইতোপূর্বে তাদের শিকার হয়েছে, ইউনিভার্সিটি অব দ্য ওয়েস্ট অব স্কটল্যান্ড, পর্তুগালের গন্ডমার সিটি ও সিক্সটিন ইউএস হসপিটালস্ এর জনৈক অপারেটর।