প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক কর কর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক গত সোমবার এই মর্মে নিশ্চিত করেছেন যে, ব্যবসা খাতে অগ্রাধিকার প্রদানসহ আগামী শরৎকালীন বিবৃতিতে তিনি কর কর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে জোর দেন যে, তিনি ও তার চ্যান্সেলর জেরেমি হান্ট চলতি বছর মূল্যস্ফীতি অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্য অর্জনের পর তারা কর কর্তনের সিদ্ধান্ত নেবেন।
তিনি কিছু ধারাবাহিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয় উল্লেখ করে বলেন, সরকার ঋণ কমানোসহ বৃটেনের সরকারি অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।
আরো বলেন, আমাদের দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত হচ্ছে কর কর্তন এবং কঠোর শ্রমের মূল্য প্রদান। উত্তর লন্ডনে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, আমাদেরকে অবশ্যই ওইসব বিষয় পরিহার করতে হবে, যা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের অগ্রগতিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে।
মনে করা হচ্ছে, সরকার একটি বড়ো কর কর্তন করবে এবং জাতীয় বীমা ইনকাম ট্যাক্স কিংবা উত্তরাধিকার ট্যাক্স এগুলোর যেকোনো একটি হ্রাস করবে।
যাই হোক, গত সপ্তাহে তার মন্ত্রিসভায় রদবদলের পর মিস্টার সুনাক এটা সুস্পষ্ট করেছেন যে, যেহেতু সরকার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে চাইছে, তাই ব্যবসা ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত কম ট্যাক্স আরোপের পক্ষপাতী, যখন প্রবৃদ্ধি ও উৎপাদনশীলতায় মারাত্মক স্থবিরতা বিদ্যমান।
তিনি আরো বলেন, পরিবহনসহ সরকারি হাতে বিনিয়োগে প্রত্যক্ষভাবে কর কর্তন করা হবে এতে উদ্ভাবনী উৎসাহিত হবে ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পাবে।
ইতোপূর্বে শীর্ষ স্থানীয় অর্থনীতিবিদরা এই বলে সতর্কবাণী উচ্চারণ করেছিলেন যে, মিস্টার হান্ট যদি কর কর্তনের উদ্যোগ নেন তবে মূল্যস্ফীতি আরো বাড়বে। যদি কর কর্তনের ঘোষণা দেয়া হয় তবে তাতে লোকজনের পকেটে দ্রুত টাকা-পয়সা ঢুকবে।
ইস্টটিটিউড ফর ফিসক্যাল স্টাডিজ এই বলে জোর দিয়েছে যে, চ্যান্সেলরের আর্থিক হেডরুম সম্ভবত পূর্বেকার প্রত্যাশিত ২৫ বিলিয়ন পাউন্ডের চেয়ে বেশি, যা একটি বিভ্রম।
চ্যান্সেলর হান্ট গত রোববারের সাক্ষাৎকারে বলেন, ব্যক্তিগত ট্যাক্সের ভার রাতারাতি হ্রাস পাবে না যেহেতু তিনি আবারও মূল্যবৃদ্ধি পরিহার করতে চান।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button