যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিদেশী শিক্ষার্থী সংগ্রহে মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করছে
যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী সংগ্রহে বহু মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করছে। তারা এজেন্টদের কমিশন হিসাবে এই অর্থ প্রদান করছে। গত বছর এধরনের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই এক্ষেত্রে ব্যয় করেছে ২৮ মিলিয়ন পাউন্ড। এ অবস্থায় স্টুডেন্ট রিক্রুটমেন্ট ইন্ডাষ্ট্রি দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে। আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও ক্রমবর্ধমান হারে নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে বিদেশী শিক্ষার্থী থেকে প্রাপ্ত আয়ের ওপর। গত বছর ৫ লাখ স্পন্সরড্ ইউকে ভিসা মঞ্জুর করা হয়। এটা এর আগের বছরের তুলনায় ২৩ শতাংশেরও বেশী। আর ২০১৯ সালের দ্বিগুন।
যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপার্জিত আয়ের এক পঞ্চমাংশ এসেছে আন্তর্জাতিক তথা বিদেশী শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে। সম্প্রতি এক বিশ্লেষনে এটা প্রকাশিত হয়েছে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের পরিসংখ্যান অনুসারে, বিদেশী শিক্ষার্থীদের যে ট্যুইশন ফী দিতে হয়, দেশীয় শিক্ষার্থীদের ফী সেই তুলনায় অনেক কম। বিদেশী আন্ডারগ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীদের গড়ে বার্ষিক ২২ হাজার পাউন্ড পরিশোধ করতে হয়। আর পোস্টগ্রাজুয়েটদের দিতে হয় তারচেয়েও বেশী। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় প্রনোদনা প্রাপ্ত এজেন্টদের উদারভাবে রেফারেল ফী প্রদান করে থাকে।
প্রথম বছরের কোর্স ফীর একটি পার্সেন্টেজ দেয়া হয় শিক্ষার্থী প্রতি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষার্থী প্রতি এই অর্থের পরিমান ২ হাজার থেকে ৮ হাজার পাউন্ড। অথচ বছর দশেক আগে এটা ছিলো মাত্র ১ হাজার পাউন্ড। প্রাপ্ত পরিসংখ্যান থেকে আরো জানা গেছে, যুক্তরাজ্যের গ্রীনিচ বিশ্ববিদ্যালয় ২০২১-২২ সালে এডুকেশন এজেন্টদের ফী দিয়েছে ২৮.৭ মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশী। অথচ ২০১৭-১৮ সালে দিয়েছিলো ৩.৩ মিলিয়ন পাউন্ড। এই অর্থ দেয়া হয়েছে ২৩০ টি এজেন্সীকে। তারা দিয়েছে ২ হাজার ৯৮৬ জন পোস্ট গ্রাজুয়েট ও ৫ শ’ আন্ডার গ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট।
এই পরিসংখ্যান থেকে আরো জানা যায়, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী প্রতি গড়ে ৮ হাজার ২৩৫ পাউন্ড পরিশোধ করেছে ২০২২-২৩ সালে।