যুক্তরাজ্যে লাখ লাখ গৃহস্থালী চরম অভাবে নিপতিত
যুক্তরাজ্যের প্রায় ২০ লাখ গৃহস্থালী আর্থিক দুর্ভোগের কারণে অর্থ বাঁচানোর জন্য তাদের ফ্রিজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। তাদের এ ধরনের দুর্ভোগকে দারিদ্র্য বিষয়ক প্রচারণা কর্মীরা ‘ভীতিকর’ পর্যায়ের দুঃখকষ্ট বলে আখ্যায়িত করেছেন।
এদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক গৃহস্থালী বলেছে, এই প্রথম গত মে মাস থেকে তারা তাদের ফ্রিজ বন্ধ রেখেছেন। এ প্রসঙ্গে জোসেফ রাউন্ট্রি ফাউন্ডেশন (আইআরএফ) চ্যারিটির অভিমত, জীবন যাত্রার ব্যয় সংকট যে এখনো নিম্ন আয়ের লোকজনকে তাড়িত করছে, এটা এরই লক্ষণ।
লক্ষ লক্ষ পরিবার এখনো উর্ধ্বমুখী বিল ও মূল্যের সাথে খাপ খাওয়াতে গিয়ে মরিয়া হয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সংস্থাটির মতে, প্রতি ৫টির মধ্যে ৪টি গৃহস্থালী, যারা ইউনিভার্সেল ক্রেডিট কার্ডের ওপর টিকে আছে, তারাও খাদ্যবিহীন, হিটিং বন্ধ রেখেছে এবং পুরনো পোশাক বদলে নতুন পোশাক কিনছে না।
জেআরএফ-এর জীবন যাত্রার ব্যয় সংকট সংক্রান্ত সর্বশেষ পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গত অক্টোবরে যুক্তরাজ্যের নিম্নআয়ের গৃহস্থালীগুলোর এক চতুর্থাংশ অর্থাৎ ২৮ লাখ গৃহস্থালীকে খাদ্যমূল্য পরিশোধের জন্য ঋণ করতে হয়েছে, এক তৃতীয়াংশ গৃহস্থালীকে নগদ অর্থের জন্য জিনিসপত্র বিক্রি করতে হয়েছে এবং প্রতি ৬টির মধ্যে একটি গৃহস্থালীকে কমিউনিটি ওয়ার্ম রুম অর্থাৎ ‘উষ্ণ ঘর’ ব্যবহার করতে হয়েছে।
এই তথ্য এসেছে এমন এক সময়ে যখন মন্ত্রী পরিষদ আগামী সপ্তাহের শরৎকালীন বাজেট বিবৃতিতে বেনিফিট কর্তনের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর প্রতি আর্থিক সহায়তা হ্রাস এবং জীবন যাত্রার ব্যয় নির্বাহে আর্থিক সহায়তা বন্ধের চেষ্টা করছেন।
জেআরএফ বলেছে, লক্ষ্যকৃত জীবনযাত্রার ব্যয় সহায়তার বরাদ্দ ১২ বিলিয়ন পাউন্ডের বেশী হলেও এবং মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেতে শুরু করলেও, ৭৩ লাখ গৃহস্থালীর খাদ্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর অভাব লক্ষ্য করা গেছে গত ৬ মাস যাবৎ। এতে প্রতীয়মান হচ্ছে যে, সংকট দূর হতে এখনো অনেক বাকী।