‘আশ্রয় প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় বহিষ্কার বেআইনী’

ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের আশ্রয় সংক্রান্ত পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এ অবস্থায় তার সরকার বিকল্পপন্থা অর্থাৎ প্লান-বি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। ক্ষুদ্র নৌকায় যুক্তরাজ্যে আগত আশ্রয় প্রার্থীদের আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় বহিষ্কার কে বেআইনি ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্যের সুপ্রিমকোর্ট।
এ অবস্থায় ঋষি সুনাক মরিয়া হয়ে তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথ খুঁজছেন, যে পরিকল্পনার পেছনে ইতোমধ্যে ১৪০ মিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় করেছেন। আশ্রয় প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় বহিষ্কার সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিমকোর্টের বক্তব্য হচ্ছে, রুয়ান্ডা তাদের জন্য নিরাপদ কিনা এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ মূল্যায়ন করা হয়নি।
বিষয়টি ঋষি সুনাকের জন্য একটি বড় আঘাত হয়ে দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি তিনি তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েল্লা ব্রেভারম্যানকে বরখাস্ত করতে বাধ্য হয়েছেন, অথচ এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার রুয়ান্ডা পলিসির গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক ও সহযোগী ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি বলেছেন, সরকারের বি প্ল্যান প্রস্তুত। উদ্ভ্রান্ত প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আশ্রয়প্রার্থীদের রুয়ান্ডায় বহিষ্কারশসংক্রান্ত তার অবৈধ ফ্ল্যাগশীপ অভিবাসন নীতিটি রক্ষার জন্য মরিয়া হয়ে এমন শেষ চেষ্টা করছেন।
সুপ্রিম কোর্ট তার পলিসি অবৈধ ঘোষণার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রুয়ান্ডা স্কিম বাস্তবায়নে সরকারের ব্যাক-আপ পরিকল্পনা মোটামুটি প্রস্তুত।
ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটসের মত বিদেশি আদালতকে কিগালিতে বিমানের ফ্লাইট অবরোধ বা বন্ধ করা থেকে বিরত রাখতে জরুরী আইন প্রণয়নের ব্যবস্থা চালু করবেন। এজন্য তিনি আগামী বছর বসন্ত নাগাদ বিমানের ব্যবস্থা করতে বদ্ধপরিকর।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মন্ত্রীরা রুয়ান্ডার সাথে একটি নতুন চুক্তি করবেন এবং তাদের পথের প্রতিবন্ধকতাসমূহ দূর করতে অভ্যন্তরীণ আইনে পরিবর্তন আনবেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button