যুক্তরাজ্য ৪.৯ বিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করেছে তুরস্কে
যুক্তরাজ্য এবং তুরস্কের মধ্যে প্রতিরক্ষা ও ভারী শিল্পখাতে সহযোগিতার অপরিসীম সম্ভাবনা বিদ্যমান। একটি তৃতীয় দেশে যৌথ উদ্যোগের বিশেষভাবে নিউক্লিয়ার মাইক্রোরিয়েক্টর এই সহযোগিতার ক্ষেত্রে নতুন যুগের সূচনা করতে পারে। সম্প্রতি মিডিয়ায় বক্তব্য প্রদানকালে ইস্তান্বুলস্থ ব্রিটিশ কনসাল জেনারেল কেনান পোলিও একথা বলেন।
তুরস্কের ডেইলী সাবাহ-এর সাথে কথা বলার সময় ব্রিটিশ কনসাল জেনারেল এবং পূর্ব ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ার ব্যবসা ভহসংক্রান্ত আন্ডার সেক্রেটারী কেনান পোলিও এই মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেন যে, এমন কোন খাত নেই যেখানে যুক্তরাজ্য ও তুরস্ক একত্রে কাজ করতে পারে না প্রথম শ্রেনীর প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির উন্নয়নে। তিনি আরো বলেন, এর প্রকৃষ্ট উদাহরন হচ্ছে টার্কিশ অ্যারোস্পেইস ইন্ডাষ্ট্রিজ (টিএআই) ও বিএই-এর যৌথ সহায়তায় ‘কান’ নামক ডোমেস্টিক কমব্যাট এয়ারক্রাফটের উন্নয়ন সাধন।
তিনি বলেন, তুরস্ক হচ্ছে ন্যাটো’র মিত্র, বন্ধু ও অংশীদার এবং এজন্য আমরা জ্বালানী ও দ্বিপাক্ষিক উন্নয়নে বিপুল বিনিয়োগ করি। ক্যানিক ও নিউরল এর মতো কোম্পানীসমূহ যুক্তরাজ্যে সক্রিয়। তুরস্কের ব্যতিক্রমধর্মী সম্ভাবনা ও প্রকৌশল ক্ষেত্রে সক্ষমতা বিবেচনায়, তৃতীয় দেশে সহযোগিতার অনুসন্ধান খুবই সম্ভব।
পোলিও আরো বলেন, আমি বায়কারের নতুন স্থাপনাগুলো পরিদর্শন করেছি এবং এ নিয়ে আমি অত্যন্ত সন্তুষ্ট। এটা প্রথম শ্রেনীর। তুরস্কে এর মতো অনেকগুলো স্থাপনা ও সুযোগ-সুবিধা রয়েছে যা বিশ্বমানের। লক্ষনীয় যে, যুক্তরাজ্য তুরস্কে গাড়ি, টেক্সটাইল, ইলেক্ট্রিক জেনারেটর ও ধাতব পদার্থের মতো বহু পন্য ক্যাটাগরির সরবরাহকারী। যুক্তরাজ্য মোট ১৬ বিলিয়ন পাউন্ডের পন্য রফতানী করে তুরস্কে। তুরস্কে সাড়ে ৭ হাজারেরও বেশী ব্রিটিশ কোম্পানী এসব পন্য রফতানী করে। ২০২১ সালে তুরস্কে যুক্তরাজ্যের এফডিআই অর্থ্যাৎ প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ ছিলো ৪.৯ বিলিয়ন পাউন্ড।