যুক্তরাজ্যে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যদের মধ্যে গৃহহীনদের সংখ্যা বেড়েছে
ইংল্যান্ডে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে গৃহহীনের সংখ্যা গত বছর ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এবারের ক্রিসমাসে সশস্ত্র বাহিনীর কোন সদস্যকে রাস্তায় রাত্রিযাপন করতে দেখা যাবে না, এমন প্রতিজ্ঞা সত্বেও এই সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটেছে। গত বছর যুক্তরাজ্যের কয়েকশ’ সমর্থনপুষ্ঠ হাউজিং এলাকাকে ৮.৮ মিলিয়ন পাউন্ড অর্থায়নের কথা ঘোষনা করা হয়, যেগুলো বন্ধ হয়ে যায়। স্কীমটির নাম ছিলো ‘অপারেশন ফরটিটিউড’।
স্কীম বা পরিকল্পনাটি সহায়তাপুষ্ট হাউজিং সুবিধা পেতে ঐসব সাবেক সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যকে সাহায্য করবে, যারা গৃহহীন হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন এবং তারা যেনো স্বাস্থ্য, গৃহসংস্থান ও শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ যত্ন লাভ করেন। তবে ২০২২-২৩ সালে এ ক্ষেত্রে ২১১০ টি গৃহস্থালীকে নির্ধারন করা হয়, যেগুলোতে কেউ না কেউ সশস্ত্র বাহিনীতে সেবা দান করেছেন। গত বছর এসব গৃহস্থালীর সংখ্যা ছিলো ১ হাজার ৮৫০ টি। ডিপার্টমেন্ট অব হাউজিং এমন তথ্য প্রদান করেছে।
চলতি বছর পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতি তিন মাসে অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকদের ৫শ’ গৃহস্থালী গৃহহীন হচ্ছে। লেবার পার্টির বিশ্লেষনে এটা পরিলক্ষিত হয়েছে।
চলতি বছর অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক বিষয়ক মন্ত্রী জনি মার্সার বলেন, যদি সাবেক সৈন্যরা ২০২৩ সালের শেষভাগ পর্যন্ত গৃহহীন থাকেন, তবে তিনি জানতে চাইবেন, এটা কেনো হচ্ছে। আমি এ বিষয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছি। গত বৃহস্পতিবার এলবিসি’র রেডিও ওয়েবসাইটে মার্সার আরো বলেন, ৪শ’ অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যকে ‘অপারেশন ফরটিটিউডে’র মাধ্যমে বাসস্থান প্রদান করা হয়েছে। তবে আমি জানি যে, দেশব্যাপী এই সহায়তা বিস্তৃত করতে আমাদের আরো অনেক কিছু করতে হবে। যেহেতু একটি নতুন বছর আসছে, এ লক্ষ্যে আমার নিবেদিতপ্রান কর্ম হোঁচট খাবে না। অপরদিকে ছায়া ভেটারনস মিনিস্টার লেবার পার্টির স্টিভ জ্যাকক্যাবে সরকারের কড়া সমালোচনা করে বলেন, সরকার সাবেক সৈন্যদের অপদস্থ করছে।