৫ লক্ষাধিক তরুন-যুবা অসুস্থতায় কাজকর্মের বাইরে
যুক্তরাজ্যের ৫ লক্ষাধিক তরুন যুবক বলেছে, দীর্ঘকালীন অসুস্থতার দরুন তারা কোন কার্জকর্ম করতে পারছে না। এ অবস্থা গত চার বছরে ৪৪ শতাংশ বেড়েছে। অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স (ওএনএস)-এর ডাটা অনুসারে, ১৬ থেকে ৩৪ বছর বয়সী ৫ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশী মানুষ আর্থিক দিক দিয়ে নিষ্ক্রিয় ছিলো। যার মানে হচ্ছে, তারা কাজের বাইরে ছিলো কিংবা কাজ খুঁজছিলো। এটা ২০২৩ সালের প্রথম তিন মাসে দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতার কারনে।
বিশেষজ্ঞরা এই অবস্থার সাথে একটি ক্রমবর্ধমান মানসিক সংকট এবং স্বাস্থ্যসেবায় বিনিয়োগ ঘাটতির যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছেন।
হেলথ্ ফাউন্ডেশন- এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে ১৬ থেকে ৩৪ বছর বয়সীরা সীমিত কর্মাবস্থার বিষয়ে অভিযোগ করছেন, যেমনটি ১০ বছর আগে ৪৫ থেকে ৫৪ বছর বয়সীরা জানাতেন। ট্রেজারি বিভাগের চীফ সেক্রেটারি লরা ট্রট বলেন, চলাফেরায় অক্ষমতা ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা আছে এমন লোকজনের তাদের দায়িত্ব পালন করা উচিত নয় বরং বাড়িঘর থেকে তাদের কাজ করা কিংবা তাদের বেনিফিট কর্তনের সম্মুখীন হওয়া উচিত। ট্রটের এই বক্তব্য সম্প্রতি বিতর্কের জন্ম দেয়।
ওএনএস লেবার ফোর্স সার্ভে অনুসারে, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যে বিষন্নতা, স্নায়বিক সমস্যা ও উদ্বেগ অন্তর্ভূক্ত। তরুনদের মধ্যে এগুলো বেশী পরিলক্ষিত হচ্ছে। অর্থ্যাৎ ১৬ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের (৩৬ শতাংশ) দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতার কারনে কাজের বাইরে থাকতে দেখা যাচ্ছে। একই সমস্যা ৩১ শতাংশ পরিলক্ষিত হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী এবং ২০ শতাংশ ৫০ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের মাঝে।
ইউনিভার্সিটি অব ইক্সিটার- এর জনৈক অধ্যাপক ও ব্রিটিশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি ডেভিড ট্রেইন বলেন, জনস্বাস্থ্যের এই সমস্যার পেছনে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা লাভে সমস্যা এবং এই খাতে ১২ বছরব্যাপী বিনিয়োগ স্বল্পতা বিশেষভাবে দায়ী। অসুস্থ মানুষের চিকিৎসার প্রতি জোর দেয়া হলেও লোকজনকে সামগ্রিকভাবে সুস্থ রাখার ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না।